যেহেতু তাড়াহুড়োতে সবই খারাপ হয়, তাই যা করবেন ধীরে সুস্থে করুন। বিভ্রান্ত না হয়ে কখন এবং কিভাবে শুরু করেবন তার জন্য কিছু টিপস দেওয়া হলো, আসুন জানান যাক
প্রসবোত্তর ব্যায়াম :
এই সময় শরীরের বিভিন্ন অংশ দুর্বল হয়ে পরে, তাই নিজেকে ফের শক্তিশালী বানাতে, স্ট্রেস কমাতে, অতিরিক্ত ওজন কমাতে, এনার্জি বাড়াতে এবং অবশ্যই ভাল ঘুমের জন্য কিছু হালকা শরীরচর্চা করা যেতে পারে। যেমন শক্তি বাড়াবার এক্সারসাইজ , হালকা এরোবিক এক্সারসাইজ এবং কার্ডিও এক্সারসাইজ করতে পারেন , দেখবেন অনেকটা ভাল লাগবে।
advertisement
পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ :
শিশুর জন্মের সময় মায়েদের শক্তি অনেক ক্ষয় হয় তাই গর্ভাবস্থার পরে শরীরকে শক্তিশালী করতে এবং সামগ্রিক শক্তিকে ফিরে পেতে মায়েদের মনোযোগী হওয়া উচিত। কিছু ব্যায়াম যন্ত্রপাতি ছাড়া শুধু বাড়িতে বসেই করা যায়। তার মধ্যে পরে পেলভিক ফ্লোর ব্যায়াম যেমন প্ল্যাঙ্কস, সাইড-প্ল্যাঙ্ক ,লেগ লিফটস-এই ধরনের এক্সারসাইজগুলো এই সময় খুবই প্রয়োজন।
ডায়াফ্রাম্যাটিক ব্রিদিং :
স্ট্রেস কমাতে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের হার ঠিক রাখতে এই এক্সারসাইজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সন্তান জন্মাবার কয়েকদিন পর থেকেই নতুন মায়েদের এটি করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। নিজের মনকে ভাল রাখতে প্রতিদিন একটু সময় বের করে এটুকু তো করাই যেতে পারে।
সুইস বল বার্ড ডগ হোল্ড :
এই এক্সারসাইজটি ঘরে বসে খুব সহজেই করা যেতে পারে। নতুন মায়েরা পিঠের আর কোমরের ব্যাথায় খুবই কষ্ট পায়। প্রতিদিন নিয়ম করে এটি অভ্যেস করুন , দেখবেন এতে আপনার স্টেবিলিটি অনেক বেশি বেড়ে যাবে।
হাঁটা :
নিজেকে ফিট রাখতে অবশ্যই রোজ হাঁটুন। দেখবেন রোজ হাঁটার অভ্যেস আপনার শরীরে রক্ত ও অক্সিজেনের পরিমান বাড়িয়ে তুলবে সঙ্গে আপনার শক্তি ও স্ট্যামিনাকেও উন্নত করবে। হাঁটলে শরীর ও মন দুটোই সতেজ আর তরতাজা লাগে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।