বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিকে আলোকপাত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে সামাজিক দিক থেকে বিবাহ একমুখী যৌন সম্পর্কে আটকে থাকে। ফলে সেখানেও যদি শারীরিক তৃপ্তি না পাওয়া যায়, তাহলে নিঃসন্দেহে তা সম্পর্কে সমস্যা সৃষ্টি করে।
এই পর্বে তেমনই এক সমস্যা নিয়ে পল্লবীকে চিঠি দিয়েছেন এক পাঠক। জানিয়েছেন যে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক খুবই অনিয়মিত। তাঁরা পরস্পরকে চুম্বন করেন, পরস্পরের স্পর্শও পছন্দ করেন। কিন্তু তাও ব্যাপারটা অনেক সময়েই সঙ্গমের দিকে যায় না। এই পাঠক লিখেছেন যে সন্তান আনার জন্য তাঁরা সঙ্গম করেছিলেন, কিন্তু সেখানেও ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছতে তাঁর খুবই অসুবিধা হয়েছিল। তা স্বতস্ফূর্ত ছিল না।
advertisement
এই প্রসঙ্গে পল্লবী বলছেন যে আমাদের যৌন চাহিদা দুই রকম ভাবে জেগে উঠতে পারে। একটি হল স্বতস্ফূর্ত, অর্থাৎ কাউকে দেখা মাত্রই তাঁর প্রতি তুমুল শারীরিক আকর্ষণ। ছবিতে, লেখায় এই ব্যাপারটিকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়, এমনকি পর্নোগ্রাফিতেও এভাবেই সঙ্গম শুরু হয়। কিন্তু পাশাপাশি আরেক রকমের আকর্ষণের কথা ভুলে গেলে চলবে না। যা স্বতস্ফূর্ত নয়, কিন্তু পরস্পরকে স্পর্শ করতে করতে তৈরি হয়। পল্লবীর পরামর্শ- যদি স্বতস্ফূর্ত ভাবে যৌন চাহিদা না জেগে ওঠে, তাহলে এই দ্বিতীয় পথের সাহায্য নিতে হবে।
এক্ষেত্রে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বাড়ানোর দিকে মন দিতে হবে। অর্থাৎ যত বেশি সম্ভব নিজেদের সময় দিতে হবে। এই জায়গা থেকে যখন একটা সুষ্ঠু বোঝাপড়া তৈরি হবে, তখন আবার ধীরে ধীরে পরস্পরের শারীরিক সুখলাভের যে বাসনা ঝিমিয়ে পড়েছে, তা জেগে উঠবে বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞ। পাশাপাশি, যাঁরা এই ধরনের সমস্যার মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের সবাইকে তিনি বিষয়টি নিয়ে সঙ্গী/সঙ্গিনীর সঙ্গে একটা আলোচনায় বসতে বলছেন। হতেই পারে যে সঙ্গমে বিশেষ একটা কিছু অন্য পক্ষের পছন্দ হচ্ছে না, সেই জন্যই তাঁরা এড়িয়ে চলতে চাইছেন বিষয়টাকে।
সব শেষে আবার মনে করিয়ে দিতে ভুলছেন না পল্লবী- স্বতস্ফূর্ততা একটা আবেগ মাত্র, তা সিদ্ধান্ত নয়। তাই একে অতিক্রম করার চেষ্টা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে!
Pallavi Barnwal