কেন, সে প্রসঙ্গে একবার মনে করে দেখা যেতে পারে নিজেদের বা বন্ধুদের অভিজ্ঞতার কথা। যে ভাবে আমরা অনেকেই জন্মের গোপন রহস্য জেনেছিলাম, তা কি খুব স্বস্তিদায়ক ছিল? আসলে, বড়দের গোপন জীবন নিয়ে অনেক শিশুরই কৌতূহল থাকে। একটু বড় হওয়ার পর থেকে নানা ভাবে তাদের কাছে ঠিকই এসে পৌঁছয় প্রাপ্তবয়স্কদের শারীরবৃত্তীয় খবরের হরেক ঝলক। তারা জানতে পারে- কী ভাবে পুরুষ এবং নারীর যৌন অঙ্গের ভূমিকায় সন্তান উৎপাদনের প্রাথমিক ধাপটি সম্পন্ন হয়। এবং বাইরের উৎস থেকে সেটা জানার পরিণামে একটা অস্বস্তি কাজ করে চলে তাদের মনে।
advertisement
ঠিক এই জায়গাতেই প্রয়োজন আছে সেক্স এডুকেশনের। আদবকায়দা থেকে শুরু করে অক্ষরজ্ঞান- সবই যখন বাচ্চাকে শেখাতে ভুলি না আমরা, তখন জীবনের এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটাকে অবহেলা করার কোনও অর্থ হয় না। এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল সাহায্য করছেন আমাদের। বলছেন, জনৈক পাঠিকা সন্তানের প্রশ্নে অস্বস্তিতে পড়ে তাঁর সাহায্য চেয়েছেন। সন্তান জানতে চেয়েছে যে কী ভাবে মায়ের পেটে বাচ্চা থাকে, কী ভাবেই বা তাকে বের করে আনা হয়!
পল্লবীর বক্তব্য- কোনও রকম জটিলতায় না গিয়েও গাছের উদাহরণ টেনে এনে বিষয়টি বোঝানো যায়। যদি সন্তান খুব ছোট হয় বা ৭-৮ বছরের হয়, তা হলে এই কথা বলার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি- "গাছের মতো বাবার কাছে একটা বীজ থাকে আর মায়ের কাছে আরেকটা! বাবার বীজ মায়ের শরীরে গিয়ে মিশে যায়। তার পর একটু একটু করে সেই বীজ একটা বাচ্চা হয়ে বড় হতে থাকে মায়ের পেটের মধ্যে। এর পর সময় হলে ডক্টরের সাহায্যে মায়ের শরীর থেকে সেই শিশু বাইরে বেরিয়ে আসে!"
পাশাপাশি পল্লবী মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে এখানেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যাচ্ছে না। এর পর বয়ঃসন্ধির সময়ে সন্তানকে এই বিষয়টিই নারী এবং পুরুষের শারীরিক প্রভেদ বুঝিয়ে স্পষ্ট ভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞার দাবি- যত সহজ ভাবে সন্তানের সঙ্গে যৌনতার বিষয়টি নিয়ে কথা বলা যাবে, তত বেশি করে সে সমাজের শিক্ষিত নাগরিক হয়ে উঠবে!
Pallavi Barnwal