এই পাঠিকা জানিয়েছেন যে তাঁদের যৌনজীবনে কোনও সমস্যা নেই! কিন্তু সম্প্রতি বয়ফ্রেন্ড জানিয়েছেন যে তাঁর পুরুষাঙ্গের প্রতি একটা আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। তিনি তাঁর গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে কারও পুরুষাঙ্গ উপভোগ করতে চান! পাঠিকার প্রশ্ন- তাঁর কি আতঙ্কিত বোধ করার কোনও কারণ আছে?
সবার প্রথমে পল্লবী জানিয়েছেন যে বিষয়টাকে একটা Fetish বা বিশেষ কোনও অঙ্গের প্রতি যৌন ইচ্ছা হিসেবে দেখতে হবে। তাঁর দাবি, যদি ওই পাঠিকা বয়ফ্রেন্ডের এই ইচ্ছাপূরণে দ্বিধাগ্রস্ত বোধ না করেন, এর পরেও যদি তাঁর বয়ফ্রেন্ডের পৌরুষ নিয়ে কোনও সন্দেহ না থাকে, তাহলে বিচলিত বা আতঙ্কিত বোধ করার কোনও কারণ নেই। অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি অস্বস্তিবোধ না করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত সব কিছু ঠিক আছে।
advertisement
আর এই জায়গায় এসে পল্লবী বিষয়টি একটু গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে বলেছেন। যদি দু'জনেই পুরুষাঙ্গ উপভোগ করতে চান কিছুক্ষণের জন্য একসঙ্গে, তাহলে অনিবার্য ভাবেই সঙ্গমে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন একজন তৃতীয় ব্যক্তি। ইংরেজিতে একে বলা হয় Cuckold Fantasy। অর্থাৎ যিনি স্ত্রী বা বান্ধবীর সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে আরেকজন পুরুষের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হচ্ছেন, তাঁকে বলা হয় Cuckold। এবার পল্লবী এই পাঠিকাকে ভেবে দেখতে বলছেন যে তিনি এরকম সম্পর্ক চালিয়ে যেতে চান কি না! কেন না, ব্যাপারটা একবারে থেমে যাবে, এটা মনে করার কোনও কারণ নেই। বয়ফ্রেন্ড মাঝে মাঝেই এমন সঙ্গম চাইবেন- সেটাই স্বাভাবিক!
তাই পল্লবীর দাবি- কারও সঙ্গে এরকম হলে বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট ভাবে তাঁদের যৌন সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলতে হবে, একটা আলোচনায় আসতে হবে। সঙ্গী কী চান, সেটা শুনতে এবং বুঝতে হবে। পাশাপাশি, নিজে কী ব্যাপারে স্বচ্ছন্দবোধ করেন, বলতে হবে সেটাও। এর পর যদি ঠিক মনে হয়, তাহলে এগোনো যায়। না হলে অনিচ্ছার কথাও স্পষ্ট ভাবেই বলতে হবে!
Pallavi Barnwal