আমরা যখন জল পান করি, তখন তা শরীরের প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে যায় এবং তারপরে সেই জল শরীর থেকে বেরিয়ে আসে।
পুরো শরীরের নড়াচড়ার রহস্য লুকিয়ে থাকে প্রস্রাবের মধ্যে। শরীরের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের সমস্যা থাকলে প্রস্রাবের রঙে পরিবর্তন দেখা যায়। ডাক্তাররা প্রায়ই রোগীকে প্রস্রাবের রঙ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন।
সাধারণত, প্রস্রাবের রঙ লাল হয়ে গেলে সবাই চিন্তিত হয়ে পড়ে। তবে এমন অনেক হালকা রঙ রয়েছে যা আমরা প্রায়শই প্রস্রাবের ক্ষেত্রে উপেক্ষা করি। সেই রঙ স্বাস্থ্যের অবনতির ইঙ্গিত দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন- চায়ের সঙ্গে ভুলেও খাবেন না এইসব জিনিস! বড় বিপদ আসতে পারে
কিছু খাবার খেলেও প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি রঙিন খাবার না খেয়ে দুই-তিন দিন ধরে একটানা আলাদা রঙের প্রস্রাব করেন, তা হলে চিন্তার বিষয়।
এমন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কমলা রঙ- গ্লুকোজ না খেয়েও আপনার প্রস্রাবের রং কমলা হলে বুঝতে হবে, আপনার লিভার সঠিকভাবে কাজ করছে না। সঙ্গে যদি মলের রংও হলুদ হয় তা হলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
লাল এবং গোলাপী- বিটরুট বা ব্ল্যাকবেরি না খেয়েও প্রস্রাবের রঙ লাল বা গোলাপী হলে চিন্তার বিষয়। হতে পারে আপনার প্রোস্টেট বড় হয়ে গেছে অথবা টিউমার বা কিডনিতে পাথর বা সিস্ট আছে। এমনকি খুব কঠিন ব্যায়াম করলেও প্রস্রাবের রঙ লাল হতে পারে।
নীল রঙ – আপনি যদি কোনো ওষুধ না খেয়েও নীল রঙের প্রস্রাব করেন, তা হলে তা বিনাইন হাইপারক্যালসেমিয়ার লক্ষ্মণ হতে পারে। এই রোগ সাধারণত শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণেও এটি ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন- লোকের কথায় নয়, ডায়াটেশিয়ানের পরামর্শে এই পাঁচ খাবার ডায়াবেটিসে বিষ
গাঢ় বাদামী- যদি আপনার প্রস্রাবের রঙ গাঢ় বাদামী হয় তবে তা কিডনির রোগ বা UTI এর সমস্যা হতে পারে। শরীরের যে কোন অংশ থেকে রক্তক্ষরণও হতে পারে।
খুব হালকা রঙ – প্রস্রাবের রং যদি খুব হালকা হয়, তার মানে আপনার মূত্রনালীতে সংক্রমণ বা কিডনিতে পাথর রয়েছে।
ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের রং হালকা বাদামী হয়ে যায়। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। তা পুরো শরীরে পৌঁছাতে শুরু করে।