হালকা ওয়ার্কআউট: ‘নো পেইন নো গেইন’, প্রবাদ বাক্য অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে এমন মাথার দিব্যি কেউ দেয়নি। তাই জিমে ভারী ওজন না চাগিয়েও নিজেকে সুস্থ রাখা যায়। বরং ঘাম ঝরবে এমন হালকা ওয়ার্কআউট করলেই চলবে। এজন্য দৌড়নো, জগিং, সাইকেল চালানো বা হাঁটাই যথেষ্ট। এতেই শরীর চাঙ্গা হবে।
advertisement
খাবারই শরীরের জ্বালানি: খালি পেটে ওয়ার্কআউট অনেক সময় স্বাস্থ্যকর বিকল্প নয়। এক্ষেত্রে হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শই দেওয়া হয়। ওয়ার্কআউটের আগে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনের একটা স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক নেওয়া যায়। হোল গ্রেন টোস্ট এবং পিনাট বাটার, প্রোটিন বার এবং কলা কিংবা কয়েকটা বেরি এবং টক দই ভালো বিকল্প হতে পারে।
আরও পড়ুন - কেন বার বার থমকে যাচ্ছে বর্ষা! দক্ষিণবঙ্গে বর্ষাকাল কবে থেকে, তারিখ জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস
পেশিতে অতিরিক্ত চাপ নয়: পেশিবহুল হাত চাই? তার জন্য অতিরিক্ত পরিশ্রম করতেও রাজি। কিন্তু পেশিতে অতিরিক্ত চাপ দেওয়া মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। মনে রাখতে হবে, শরীরের পরিবর্তনগুলো (চর্বি পোড়ে বা পেশি বাড়ে) ওয়ার্কআউটের মাঝখানে নয়, যখন বিশ্রাম নেওয়া হয় তখনই ঘটে। নিয়ম হল, সপ্তাহে ২ বার শরীরের নির্দিষ্ট অংশের ব্যায়াম করতে হয়। যেমন সোম-বুধ পায়ের ব্যায়াম, মঙ্গল-বৃহস্পতি হাতের।
আরও পড়ুন - মহারাষ্ট্রে রাজ্যসভার তিন আসনে জয়ী বিজেপি, রাজস্থানে তিন আসন কংগ্রেসের
পর্যাপ্ত ঘুম: ওয়ার্কআউটের সময় যদি ক্লান্তিতে শরীর ঝুঁকে আসে তাহলে বুঝতে হবে ঘুমের ঘাটতি হচ্ছে। রাতে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। এটাই ক্লান্তির বিরুদ্ধে লড়তে এবং স্বাস্থ্য ও ফিটনেসের চূড়ায় থাকতে সাহায্য করবে।
মানসিকতা পরীক্ষা করতে হবে: মনই গুরু, শরীর চ্যালা। কেউ যদি প্রতিদিন বলে ‘এই ব্যায়ামটা খুব শক্ত’ বা ‘আমি খুব ক্লান্ত’, তাহলে একসময় সেটাই হবে। ব্যায়ামটা আর করা হয়ে উঠবে না। ক্লান্তিতে ঘিরে ধরবে শরীর। ওয়ার্কআউটগুলোকে হাতিয়ার হিসেবে দেখতে হবে। মনে করতে হবে, এই ব্যথাই আরও শক্তিশালী করে তুলবে। নিমেষে সবকিছু পাল্টে যাবে।
দিনের শুরুতেই ওয়ার্কআউট: সারা দিনের শেষে ক্লান্তি গ্রাস করে। তখন আর ওয়ার্কআউট করার ইচ্ছে না থাকাই স্বাভাবিক। তাই দিনের শুরুতেই ওয়ার্কআউট করতে হবে। সারা বিশ্ব জেগে ওঠার আগেই শুরু করে দিতে হবে নিজের করণীয় কাজ। দিনের বাকি সময় এটাই শক্তি যোগাবে।
প্রচুর জল: শরীর হাইড্রেটেড না থাকলে শক্তির স্তরে প্রভাব ফেলে। সারা দিন চা-কফি, এনার্জি ড্রিংক বা অন্যান্য পানীয় খেতে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই জল খাওয়া কম হবে। এটা করলে চলবে না। শরীরের অর্ধেক ওজনের (আউন্সে) সাধারণ জল পান করতেই হবে। যেমন ১৬০ পাউন্ড ওজন হলে প্রতিদিন ৮০ আউন্স জল খেতে হবে।