এই পরিস্থিতিতে সব থেকে বেশি ভয় ধরায় কাশি। বিশেষত গত কয়েক বছরের অতিমারী পরিস্থিতি আমাদের আতঙ্কিত করে রেখেছে। কিছু ঘরোয়া উপাদান এই মরশুম বদলের সময় কাশি থেকে বাঁচতে সাহায্য করতে পারে। তাতে শরীর সুস্থ থাকবে, কাফসিরাপের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও তৈরি হবে না।
মধু—
২০১৮ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মধু যেকোনও কাশির ওষুধের থেকে বেশি কার্যকর। দ্রুত উপশম পেতে আদার রসে মিশিয়ে মধু খাওয়া যেতে। গরম জলে লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়েও পান করা যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে ক্যানসার, এই এক শাকে জীবন বেঁচে যাবে! জানুন
আনারস—
আনারস খেতে অনেকেই ভালবাসেন। কিন্তু তা যে কাশির মোক্ষম দাওয়াই তা জানেন না। ব্রোমেলেন নামক উৎসেচক থাকে বলেই আনারস কাশি সারাতে পারে। NCBI-এর রিপোর্ট বলছে একথা। কাশি হলে এক টুকরো আনারস খাওয়া যেতে পারে। দিনে তিনবার ৩.৫ আউন্স তাজা আনারসের রসও পান করা যায়।
আরও পড়ুন: বিরাট সুযোগ, থাইল্যান্ডে বেড়াতে যেতে ভারতীয়দের লাগবে না ভিসা! জানুন
পুদিনা—
পুদিনার ঔষধি গুণ প্রচুর। সবুজ পুদিনা পাতা সর্দি এবং কাশি উপশম করতে পারে। ঠান্ডা লাগলে পুদিনা চা পান করা যেতে পারে। গরম জলে পুদিনা পাতা ফুটিয়ে তার ভাপ নেওয়াও উপকারি।
থাইম বা ওরেগানো—
২০২১ সালের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, থাইমের রস কাশি সারাতে পারে। থাইমের পাতায় ফ্ল্যাভোনয়েড নামক যৌগ থাকে যা কাশি দূর করে, গলার পেশী শিথিল করে এবং প্রদাহ কমায়। ২ চা চামচ অরিগানো পাতা এবং এক কাপ ফুটন্ত জলে দিয়ে চা তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে।
আদা—
কাশি হলে আদা মুখে রাখার প্রথা প্রায় সকলের বাড়িতেই প্রচলিত। শুধু তাই নয়, বমি ভাব, পেট খারাপ, বদহজম ইত্যাদির জন্যও আদা ভাল। আদা চা পান করলে কাশি, গলা খুসখুস, গলায় জ্বালা, শ্লেষ্মা কমে।
হলুদ—
২০২১ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হলুদের কারকিউমিন যৌগে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। কাশি উষ্ণ হলুদ চা বা দুধ পান করা যেতে পারে। সঙ্গে গোলমরিচ, মধু মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।