আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডা. প্রিয়াঙ্কা সিং আমাদের জানিয়েছেন যে, এই ওষুধটি খুবই জনপ্রিয় এবং প্রাচীনকাল থেকেই এর ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি সপ্তপর্ণী নামে পরিচিত। এটি ক্যানসার, ম্যালেরিয়া এবং সাপের কামড়ের মতো অনেক মারাত্মক রোগের জন্য খুবই উপকারী। তবে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে, তাই এটি কোনও আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ব্যবহার করা উচিত।
advertisement
বালিয়ার সরকারি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. প্রিয়াঙ্কা সিং বলেন, আয়ুর্বেদে সপ্তপর্ণীর ওষুধ হিসাবে নানা ব্যবহার রয়েছে। এটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি সাপের কামড়ের প্রতিষেধক হিসাবেও ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও ডায়রিয়াতে ভুগতে থাকা রোগীরা যদি এর বাকলের নির্যাস পান করেন তবে ডায়রিয়া সম্পূর্ণ ভাবে কমে যায়। এতে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ম্যালেরিয়াল উপাদান যা ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধ্বংস করতে উপকারী। এটি ইমিউনিটি সিস্টেমকে ব্যাপক ভাবে শক্তিশালী করে, যা শরীরকে অন্যান্য রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা দেয়। আজকাল ক্যানসারে সপ্তপর্ণীর ভূমিকা নিয়েও অনেক গবেষণা চলছে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধেও খুব উপকারী। এছাড়াও এটি উচ্চ রক্তচাপ কমায়, এর বাকল থেকে যে নির্যাস বের হয় তা ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী। এটি স্তন্যদানকারী মহিলাদের খাওয়ানো হয়।
সপ্তপর্ণীরও অবশ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, কেউ যদি দীর্ঘদিন ধরে কোনও রোগে ভোগেন বা চিকিৎসাধীন থাকেন তাহলে তাঁদের এটি খাওয়া উচিত নয়। তাই এটি শুধুমাত্র কোনও আয়ুর্বেদিক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ীই ব্যবহার করা উচিত, অন্যথায় এটি উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি করতে পারে। শুধুমাত্র একজন আয়ুর্বেদ চিকিৎসকই বয়স এবং রোগ অনুযায়ী সপ্তপর্ণীর সঠিক ডোজ নির্ধারণ করতে পারেন।