সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে যে, ভারতীয়রা প্রতিদিন ৮ গ্রাম করে লবণ খেয়ে থাকেন। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ, প্রতিদিন ৫ গ্রাম করে লবণ খাওয়া যেতে পারে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মানদণ্ডের থেকে ৩ গ্রাম বেশি লবণ সেবন করেন ভারতীয়রা। সমীক্ষার রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, ভারতীয়দের প্রস্রাবে উচ্চ পরিমাণে সোডিয়াম পাওয়া গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কিছু খেলেই বুকজ্বালা করে? অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যা নির্মূল করবে এই চেনা সবজি
এই প্রসঙ্গে লখনউয়ের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট লোকবন্ধু ডক্টর অজয় শঙ্কর ত্রিপাঠীর সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই রিপোর্টটি একেবারেই সঠিক। ভারতীয়রা প্রতিদিন ৮ গ্রামেরও বেশি লবণ সেবন করেন। এর কারণ হিসেবে তিনি দায়ী করেছেন খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনকে। তাঁর বক্তব্য, আসলে আজকাল মানুষের মধ্যে ফাস্টফুড খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাসও তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে। ডাল, ভাত, রুটি, তরকারির মতো ঘরে তৈরি সাধারণ খাবার আজকাল মানুষ কমই খায়। আবার যাঁরা এই সাধারণ খাবার খান, তাঁরাও খাবারে বেশি করে লবণ যোগ করছেন। আর এই সব মিলিয়ে তাঁদের মধ্যে মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সলমানের নতুন ছবি নিয়ে দারুণ বার্তা শাহরুখের, টাইগার ৩-তে দেখা যাবে ‘জওয়ান’-কেও?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আরও বলেন যে, ২৫ বছর আগে মানুষ সাধারণ খাবারই খেত। ডাল কিংবা তরকারিতে বিশেষ লবণ যোগ করা হত না। আলাদা ভাবেই রাখা হত। কিন্তু আজকাল যথেচ্ছ ভাবে রান্নায় লবণ ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার বর্তমানে আরও একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। সেটি হল, কেউ যদি কম রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তখন তিনি লবণ খেতে শুরু করেন। এটি আসলে উচিত নয়। রক্তচাপ কমে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই ওষুধ এবং লবণ খেতে হবে। তাঁর পরামর্শ, প্রতিদিন ২-৩ গ্রাম লবণ খাওয়া যেতে পারে।
ডা. অজয় শঙ্কর ত্রিপাঠীর কথায়, “প্রতিদিন যোগব্যায়াম করা আবশ্যক। সকাল-সন্ধ্যায় হাঁটতে বেরোনো উচিত। আর সেই সঙ্গে লবণ খাওয়ার অভ্যেসে রাশ টানতে হবে। আর ফাস্টফুড খাওয়াও বন্ধ করা আবশ্যক। এর পাশাপাশি বাইরের খাবারও বেশি খাওয়া উচিত নয়, কারণ বাইরের খাবারে অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা হয়। যা বিপজ্জনক রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। বাড়িতে রান্না করা খাবারই খাওয়া উচিত।