‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এ এসে তাঁর জীবনের আখ্যান জানিয়েছেন মাধুরী মহিমা দেবী দাসী। বাবা,মা ও বোনের পরিবারে তাঁর বড় হওয়া সুদূর রাশিয়ায়। বাবা ও মা দু’জনে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী। দুই বোনের একজন বাবার ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। অন্যজন মায়ের। সুরে ছন্দে নির্বিঘ্নেই কাটছিল শৈশব। সকলেই নিজের স্বাধীনতা মতো ধর্মাচরণ করতে পারতেন। বৈচিত্রপূর্ণ এই পরিবারে প্রথম বৈষ্ণবদর্শন প্রবেশ করেছে মাধুরীর মাধ্যমেই।
advertisement
ছোট থেকেই নিরামিষ আহার ভাল লাগত মাধুরীর। কিন্তু রাশিয়ায় সেটা পাওয়া ছিল কষ্টকর। পরবর্তীতে মায়াপুরে শ্রীকৃষ্ণের মন্দিরে এসে তিনি উপলব্ধি করেন, জীবনে যার সন্ধানে ছিলেন, সেটা পেয়েছেন। মায়াপুরেই দীক্ষা গ্রহণ করে শ্রীকৃষ্ণের সেবায় জীবন উৎসর্গ করেছেন৷ তাঁর সঙ্গী এখন নামগান এবং জপমালা৷
পেশাদার নৃত্যশিল্পী এই তরুণী মায়াপুরে নিয়মিত অংশ নেন নাচ, গান এবং অভিনয়ে৷ বিভিন্ন পালাপার্বণে তিনিই সাজেন শ্রীকৃষ্ণ৷ তাঁর সখী অভিনয় করেন গোপিণীর ভূমিকায়৷
মাঝে মাঝে অবসরে যান রাশিয়াতেও৷ দু’ সপ্তাহ বা মাসখানেক কাটিয়ে আসেন বাবা মা এবং পরিজনদের সঙ্গে৷ বাকি সময়ের জন্য মোবাইল ফোন তো আছেই৷
আশ্রমিক জীবনে বেশ সুখেই আছেন এই কৃষ্ণসাধিকা৷ তাঁর আরাধ্য ঈশ্বরের সেবাতেই কাটিয়ে দিতে যান আগামী দিনগুলিও৷
(ছবি : ফেসবুকে জি বাংলার শেয়ার করা ভিডিও থেকে)