সাধিকা জীবনে তাঁর নাম যমুনা জীবনা। তিনি যখন ছোট, তখন তাঁর মা স্বপ্নে দেখেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে। তার পর একদিন তাঁরা বন্ধুর আমন্ত্রণে এলেন মায়াপুরে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিগ্রহ দেখে যমুনার মা উপলব্ধি করলেন তাঁকেই তিনি দেখেছিলেন স্বপ্নে। মায়াপুরের আশ্রমিক জীবনধারা দেখে মুগ্ধ হলেও তখন তাঁদের সেখানে বসবাস করা সম্ভব হয়নি। সপরিবারে ফিরে গিয়েছিলেন রাশিয়ায়। আট বছর বয়স থেকেই রাশিয়ায় শ্রীকৃষ্ণের নামগান, সাধন ভজনে দিন কেটেছে যমুনার।
advertisement
কিন্তু মনের টানে সেই মায়াপুরে ফিরে এলেন যমুনা। তখন তিনি বিবাহিতা এবং দুই সন্তানের মা। এখন সপরিবারে, স্বামী ও দুই মেয়েকে নিয়ে যমুনা মায়াপুরবাসী। তাঁরা বাবা মা থাকেন রাশিয়াতেই। বাবা মাকে ছেড়ে গত ১৬ বছর ধরে যমুনা ভারতে আছেন। ১৩ বছর ধরে রয়েছেন মায়াপুরে। মায়াপুরের জীবনে খুব খুশি এই কৃষ্ণসাধিকা।
যমুনা একজন থেরাপিস্ট। পাশাপাশি কৃষ্ণসেবায় নিবেদিত। জন্মাষ্টমী-সহ বিশেষ বৈষ্ণব অনুষ্ঠানের আয়োজনে প্রচুর রান্নাবান্না করেন তিনি। শিখে নিয়েছেন বাংলার রান্না। নিজে ভালবাসেন রুটি ও তরকারি। রসমালাই, বরফি-সহ বাংলার রকমারি মিষ্টির স্বাদেও মুগ্ধ তিনি। তাঁর স্বপ্ন, শ্রীকৃষ্ণের লীলা এবং মায়াপুরের কথা ছড়িয়ে পড়ুক আরও বেশি করে।
(ছবি : জি বাংলার সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে শেয়ার করা ভিডিও ক্লিপ থেকে)