লোকাল ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নরেশ কুমার পণ্ডিত বলেন, ‘শীতকালে অনেকেই বাড়িতে রুম হিটার এবং গাড়িতে ব্লোয়ার ব্যবহার করেন। এতে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচা যায় ঠিকই, কিন্তু এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। রুম হিটার এবং কার ব্লোয়ার থেকে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়, যা মারাত্মক। দীর্ঘক্ষণ চালিয়ে রাখলে মানুষের দমবন্ধ হয়ে যেতে পারে’।
advertisement
এর জন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন ডা. নরেশ পণ্ডিত। তাঁর কথায়, ‘রুম হিটার ব্যবহারের সময় ঘরের দরজা বা জানলা সামান্য খোলা রাখা উচিত। যাতে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল করতে পারে। গাড়ির ক্ষেত্রেও একই কাজ করতে হবে। ব্লোয়ার ব্যবহারের সময় জানলার কাচ সামান্য খুলে রাখা উচিত। ঘরের বা গাড়ির ভিতরের তাপমাত্রা আরামদায়ক হয়ে গেলে হিটার বন্ধ করে দিতে হবে’।
হিটার হয়ে উঠতে পারে নীরব ঘাতক: সারারাত রুম হিটার চালিয়ে রেখে ঘুমানো উচিত নয়। এতে শরীরে খারাপ প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে বাচ্চাদের উপরে। রুম হিটার থেকে নির্গত কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস বর্ণ এবং গন্ধহীন। কিন্তু নীরব ঘাতক।
কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষণ: হিটার চালানোর কিছুক্ষণ পর যদি মাথা ঘোরে, মাথার যন্ত্রণা হয়, বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা শুরু হয় বা শরীরে অন্য কোনও অস্বস্তি দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে ঘর বা গাড়িতে কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। হঠাৎ ঘুম ঘুম ভাব বা চোখ বন্ধ হয়ে আসাও কার্বন মনোক্সাইড বৃদ্ধির অন্যতম লক্ষণ। এরকম পরিস্থিতিতে অবিলম্বে রুম হিটার বন্ধ করে ঘরের জানলা-দরজা খুলে দিতে হবে। ঘরে যাতে পর্যাপ্ত বাতাস ঢোকে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
