বিশ্বের একাধিক সভ্যতায় প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন ভাবে ভাতের ফ্যান ব্যবহৃত হয়ে আসছে৷ আধুনিক শহুরে জীবনে বেশি প্রচলিত না হলেও ভাতের ফ্যান বা রাইস ওয়াটার ব্যবহৃত হয় খনিজ, পুষ্টিকর কার্বোহাইড্রেটসের উৎস হিসেবে৷ প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস ভাতের ফ্যান পান করলে দিনভর তা কাজ করে শক্তির উৎস হিসেবে৷
ফেনা ভাত খাওয়ানো যেতে পারে শিশুদেরও৷ বাজারচলতি শিশুখাদ্যের তুলনায় এর উপকারিতা কিছু কম নয়৷ হজম করা সুবিধেজনক৷ বাচ্চাদের শক্তি দেয় ভাতের ফ্যান৷ দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও৷
advertisement
আরও পড়ুন : শীতে শুষ্ক ত্বকের ঝক্কি কমাতে নিয়মিত খান এই খাবারগুলি
জামাকাপড়ের মাড় হিসেবে ভাতের ফ্যানের ব্যবহার জানেন বাঙালিমাত্রই৷ কাচা জামাকাপড় ফ্যানে ডুবিয়ে তার পর রোদে দিয়ে কড়কড়ে করে তুলে রাখাই একসময় দস্তুর ছিল ঘরে ঘরে৷ এখন বাজারে বোতলবন্দি স্টার্চ হাজির৷ কিন্তু অনেক বাড়িতে এখনও কাচা জামাকাপড় কড়কড়ে রাখতে ভরসা ভাতের ফ্যানই৷
শুধু জামাকাপড়ই নয়৷ ভাতের ফ্যান যত্ন রাখে আপনার ত্বকেরও৷ ব্রণ ও অ্যাকনের পুরনো দাগের উপর দিতে পারেন ভাতের ফ্যান৷ ওপেন পোরস কমানোর জন্য ভাতের ফ্যানই হবে আপনার টোনার৷ রাইস ওয়াটার বা ভাতের ফ্যানে ডুবিয়ে নিন কটন বল৷ তার পর সেটি দিয়ে আলতো হাতে মুছে নিন সারা মুখ৷
আরও পড়ুন: আপনার দু’টি চোখ বাঙ্ময় করে তুলতে পরুন বাড়িতে পাতা কাজল, তৈরি করা খুবই সহজ
চুলের সমস্যা দূর করতে ভাতের ফ্যান সম্ভবত সবথেকে কম খরচের ঘরোয়া টোটকা৷ সারা চুলে ভাতের ফ্যান লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ২০ মিনিট৷ তার পর মাইল্ড শ্যা্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন৷ জবাফুলের পাপড়ির নির্যাস এবং ভাতের ফ্যান মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন হেয়ারটনিকও৷ চুলে এবং স্ক্যাল্পে স্প্রে করুন এই মিশ্রণ৷ তার পর ধুয়ে নিন৷ চুল ঝলমলে রাখার পাশাপাশি চুল পড়ার সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয় এই টোটকা৷
গরমকালে ভাতের ফ্যান আপনার শরীরের ইলেকট্রোলাইট লেভেল বজায় রাখে৷ গরম এবং আর্দ্র ঋতুতে শরীরে হাইড্রেশনের মাত্রা ঠিক রাখা এবং হৃত পুষ্টিগুণ ফিরিয়ে দেওয়াও ভাতের ফ্যানের বৈশিষ্ট্য৷
আরও পড়ুন: রুটি নাকি ব্রাউন ব্রেড? কোনটা খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী?
সমপরিমাণ ভাতের ফ্যান, গোলাপজল ও গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন একটি বোতলে৷ তার পর তাতে যোগ করুন অরেঞ্জ এসেনশিয়াল অয়েল৷ খুব ভাল করে মিশিয়ে এটি ব্যবহার করুন ফেস সিরাম হিসেবে৷