বিশেষজ্ঞদের কথায়, সম্পর্কে ঠকানো বা মিথ্যে বলা এবং সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। কিন্তু মহিলাদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা হয়ে থাকে যখন তাঁরা পুরুষ-সঙ্গীর কাছ থেকে বা স্বামীর কাছ থেকে প্রশংসা পান না বা মনোযোগ পান না।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যে কোনও বিবাহ ভেঙে যেতে পারে শুধু এই কারণে। মনোযোগ দেওয়া বন্ধ হলে বা কমে যেতে থাকলে সন্দেহ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে ও সেই থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে। তা ছাড়াও যে কোনও কাজে, বিশেষ করে সাজগোজের ক্ষেত্রে প্রশংসা না পেলে, কমপ্লিমেন্ট না পেলে মহিলারা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে চান।
advertisement
ডেটিং অ্যাপ Gleeden সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা করে। যাতে ১১ হাজার মহিলা ব্যবহারকারীকে একটি প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। দেখা যায়, ৮৪ শতাংশ মহিলা নিজেদের সঙ্গীর নামে অভিযোগ করেছেন। বলেছেন, তাঁদের সঙ্গী মনোযোগ দেন না, সময় দেন না বা প্রশংসা করেন না। তার মধ্যে ৬১ শতাংশ মহিলা বলেছেন, এই সমস্যার ফলে সম্পর্ক নিয়ে চিন্তা শুরু হয়। এবং ৭৭ শতাংশ মহিলা বলেন, এই সমস্যাগুলি, সঙ্গীর এই ব্যবহার তাঁদের সংসার থেকে, বিবাহ থেকে দূরে সরিয়ে ফেলে।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ৮২ শতাংশ মহিলা বলেছেন, তাঁরা মনে করেন, তাঁদের প্রশংসার প্রয়োজন রয়েছে এবং সম্পর্ক মজবুত করার জন্য এটি প্রয়োজন। যা না পাওয়ায় অন্য অপশনের দিতে ঝুঁকতে শুরু করেন তাঁরা। ৭৬ শতাংশ মহিলা আবার বলেছেন, নিজেদের আকৃষ্ট মনে করার প্রবণতা নষ্ট হয় যদি সঙ্গীর থেকে প্রশংসা না পাওয়া যায়। শেষে ৪২ শতাংশ মহিলা বলেছেন, যৌনজীবনেও এর প্রভাব রয়েছে, কারণ কেউ যদি আকৃষ্ট না হন বা প্রশংসা না করেন, তা হলে তাঁর প্রতিও উদ্দীপনা বা আকর্ষণ দেখিয়ে লাভ নেই! আর এর ফলেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে অন্য সম্পর্কের দিকে এগোনো শুরু হয়।
এই বিষয়টিকে, বিশেষ করে মহিলাদের এই মনোভাবকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেছে দ্য জার্নাল অফ সেক্স মার্শাল থেরাপি। তাদের কথায়, কোনও মহিলা যদি দেখেন, তাঁর সঙ্গী তাঁর প্রতি আকৃষ্ট নন, তা হলে সম্পর্কের বাঁধন আলগা হতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে যদি অন্য কারও থেকে তিনি প্রশংসা পান, অন্য কেউ যদি তাঁর সৌন্দর্যের, কাজের প্রশংসা করেন, তাঁকে অ্যাটেনশন দেন, তা হলে স্বাভাবিক ভাবেই তিনি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে বা সময় কাটাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন।