আন্তরিকতার সঙ্গে:
যখনই সহকর্মীর কাছে ক্ষমা চাওয়া হবে, মন থেকে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি যেন বুঝতে পারেন, ভুল করে আমরা সত্যিই লজ্জিত। আসলে নিজের ভুলের জন্য কেউ যদি ক্ষমা না-চান, সে ক্ষেত্রে তিনি তাঁর উল্টো দিকে থাকা মানুষটিকে অপমান করেন।
দায় স্বীকার:
ভুল আমাদের দিক থেকে হয়ে থাকলে অবশ্যই তার দায় স্বীকার আমদেরই করা উচিত। আসলে নিজের ভুল তো নিজেকেই শুধরে নিতে হবে। তাই না! আর কেউ যদি নিজে ভুল করে সেটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তা হলে তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে। আসলে এর অর্থ হবে, নিজের ভুল স্বীকার করার মতো ক্ষমতা অথবা সৎ সাহস তাঁর নেই।
advertisement
আরও পড়ুন : প্রাতরাশে ফলের রস খাচ্ছেন? এই ভুলগুলো করছেন না তো?
অন্যের অনুভূতি বোঝা:
কোনও ভুল করে থাকলে সহকর্মীর উপর তার কেমন প্রভাব পড়েছে, সেটাও আমাদেরই বুঝতে হবে। ক্ষমা চাইলেও তাঁদের জায়গায় থেকে তাঁদের পরিস্থিতিটা বোঝার চেষ্টা করাটাই শ্রেয়। তাই সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলে তাঁর কাছে আন্তরিকতার সঙ্গে ক্ষমা চাইতে হবে। সম্পর্কের উন্নতির জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি।
এড়িয়ে না যাওয়া:
ধরা যাক, কেউ ভুল করেছেন এবং তাতে তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই যথেষ্ট সৎ সাহসের অভাবে নিজের ভুল স্বীকার করার বিষয়টা এড়িয়ে যান। এতে সম্পর্কের উন্নতি তো হয়ই না, বরং আরও অবনতিই হয়! তাই কেউ ভুল করলে কোনও না কোনও দিন তাঁকে নিজের ভুলটা স্বীকার করতেই হয়। একটা ‘সরি’-তেই যেখানে সম্পর্ক ঠিকঠাক হয়ে যায়, সেখানে পরিস্থিতি না এড়িয়ে চলাই ভাল। তাই যিনি ভুল করেন, সম্পর্কের উন্নতির জন্য এগিয়ে প্রথম ‘সরি’টা তাঁকেই বলতে হবে।
আরও পড়ুন : বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডারের মধ্যে পার্থক্য কী?
সমাধান:
একটা ‘সরি’ বলে দিলে বা ক্ষমা চেয়ে নিলেই হল না! যাঁর সঙ্গে গোলমাল হয়েছে, সম্পর্কের উন্নতির জন্য অনুমতি নিয়েই তাঁর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। আর ভবিষ্যতে যাতে এমন পরিস্থিতি তৈরি না-হয়, সে দিকে নজর রাখতে কী কী করণীয়, সেই বিষয়েও সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলে নেওয়া যায়।