সমস্যা হল এই পুজোর দিনে যখন রাস্তায় একঢাল আনন্দের মুখ, প্রণয়ীযুগলের জায়গা বেছে সেলফি তোলার হিড়িক, একে অপরের মুখে খাবার তুলে দেওয়া- ছিঁড়ে যাওয়া তারও তখন ঝনঝন করে বেজে ওঠে! যে গিয়েছে, তাকে যেতে দেওয়াই ভাল- শতেক প্রবোধেও তখন আর মন মানে না। তাহলে উপায়?
শুধু উৎসবের দিনগুলিতেই নয়, জীবনের অন্য দিনও যাতে একাকিত্বে, হৃদয় ভাঙার দুঃখে নিকষ আঁধারে মুখ না লুকোয়, তার জন্য সঙ্গে থাক এই কয়েকটি টিপস।
advertisement
উথলে নয়ন বারি
উৎসবের দিনগুলিতে না কি চোখের জল ফেলতে নেই! তাতে অকল্যাণ হয়। কিন্তু যে কষ্ট মনের কুয়োয় জমা হয়ে আছে, তাকে তো বের করে আনা দরকার। তাই কান্না পেলে একলা কেঁদে নেওয়া ভাল, চোখের জল বেরিয়ে গেলে কিন্তু মন হালকা হয়।
আরও পড়ুন- বাড়িতেই রহস্য মৃত্যু ব্যবসায়ীর ! চাঞ্চল্য কালনায়
সে আর আসিবে না?
ঠাকুরের গানের 'কোথা সে হায়' কলিই যেন বিচ্ছেদের পরে মনের মধ্যে আমাদের সবার গুনগুন করে। আর তখন আমরা কী করি? পুরনো মেসেজ পড়ে দেখি, কাছে থাকা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হওয়া সেই মানুষটার ছবি বার বার দেখি। আর একটু একটু করে আরও একা হয়ে যাই, আরও বেশি করে বিষাদ ঘিরে ধরে। তাই এটা করা যাবে না, বরং সব ছবি-মেসেজ মুছে দিয়ে বন্ধুদের দলে ভিড়ে গেলে হালকা লাগবে।
স্বপ্নে আমার মনে হল
'তুমি ঘা দিলে আমার দ্বারে'- এমন স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে যাওয়াটাও খুব স্বাভাবিক। বিশেষ করে মন ভেঙে গেলে ঘুম পাতলা হয়ে যায়। তাই এই সময়ে নিজের ঘুমের খেয়াল রাখতে হবে। যোগাসনে শরীর-মন শান্ত রাখা এক্ষেত্রে ভাল উপায়। এর জন্য কোনও যোগাসনের ক্লাসে ভর্তি হয়ে লোকের মাঝে থাকলে হালকা লাগবে, কে জানে নতুন ভালবাসার মানুষও সেখান থেকেই পাওয়া যাবে কি না!
তোমার কথা হেথা কেউ তো বলে না
উঁহু, এই নিয়ম খাটবে না! কথা বুকে জমিয়ে রেখে কষ্ট পেয়ে লাভ নেই। বরং, ইচ্ছে হলে কাছের মানুষদের প্রাক্তনের কথা বলতে হবে। তাঁর ভালর কথা বলতে হবে, খারাপেরটুকুও বাদ দেওয়া যাবে না। মন হালকা হলে তখনই একমাত্র অন্য দিকে তাকানোর পরিসর তৈরি হবে।
যাতনা কাহারে বলে
মন ভেঙে যাওয়া যাতনা তো বটেই, কিন্তু এই সময়ে খাওয়াদাওয়া কমিয়ে শারীরিক যাতনাও আমরা নিজেরাই ডেকে আনি- ইচ্ছে করে না যে কিছু দাঁতে কাটতে! তাতে শরীর দুর্বল হয়ে অবসাদ আরও পেয়ে বসে, তাই খাওয়াদাওয়া কিছুতেই বাদ দেওয়া যাবে না।
বিদায় দ্বার খোলো
'গেল যে খেলার বেলা'- এই সহজ কথাটুকু ধীরে ধীরে হলেও সইয়ে নিতে হবে। খেলার সাথীকেও যেতে দিতে হবে। নয় তো নিজেকেই আসতে হবে সরে। বিচ্ছেদের পরেও যোগাযোগ থাকলে সুখী হওয়া যায় না, এ প্রমাণিত সত্য। তাছাড়া স্থান যদি শূন্যই না হয়, আবার তা পূর্ণ হবে কী করে!