আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্ত হলে কেন চলে যায় গন্ধ শোঁকার ক্ষমতা? জানালেন গবেষকরা
যারা প্রচুর পর্ন দেখেন তারা নিজেদের জীবনসঙ্গীদের থেকে মানসিকভাবে দূরে সরতে পারেন। নিজেদের চরম ব্যক্তিগত মুহূর্তেও একজন নীল ছবি আসক্ত ব্যক্তি নিজেদের সঙ্গীর থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারেন।
পর্ন দেখা ঠিক না ভুল তা নিয়ে আলোচনা করে কিন্তু আখেরে লাভ হয় না। যারা নীল ছবির প্রতি আসক্ত তাদের উপর এই আলোচনার তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। এবং মনে রাখা উচিত সমস্ত আসক্তিই (Relationship Tips) প্রায় একই ভাবে কাজ করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আসক্তি বাড়তেই থাকে এবং অন্য অনেক দিকে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন- শুধু প্রেমই ঘন করে না, শরীর মন চাঙ্গা রাখতেও চকলেটের উপকারিতা অসীম
বিবাহিত দম্পতিদের একটা বিষয় সবসময় মাথায় রাখা উচিত। কথা না বলে বিরূপ মনোভাব পুষে রেখে চলার অভ্যাস এড়ানো উচিত। আপনার জীবনসঙ্গীর পর্ন আসক্তি বা যেকোনও অন্য আসক্তি সম্পর্কে নিজের মনে মনে অত্যন্ত নেতিবাচক ধারণা পুষে রাখবেন না। তার বদলে আপনার জীবন সঙ্গীর মানসিকতা সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন, কথা বলুন সঙ্গীর সঙ্গে।
দীর্ঘকাল গোপন রাখার পরে কেউ একজন যদি নিজের জীবনসঙ্গীর নীল ছবি দেখার অভ্যাস সম্পর্কে হঠাৎ জানতে পারেন তাহলে নিজেকে অনেকটা দূরের বা বিচ্ছিন্ন মনে হতে পারে। কেউ একে ঘৃণ্য বলেও মনে করতে পারেন। অনেকেই নিজেদের সম্পর্কের (Relationship Tips) মধ্যে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গীর যৌন সম্পর্কের বিষয়টিও ধারণা করে নিতে পারেন।
তবে, ব্যক্তিগত এবং গোপনীয়র মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ভালো লাগা বা পছন্দ রয়েছে, তবে বৈবাহিক সম্পর্কে গোপনীয়তা বাড়তে থাকলে তা অবিশ্বাসের জন্ম দেয়, সম্পর্ক ভাঙনের মুখে এসে দাঁড়ায়।
সুতরাং নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগত ক্ষেত্র এবং গোপনীয়তার মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য বোঝার জন্য যোগাযোগ বাড়াতে হবে। তাতে নিজেদের সম্পর্কই মজবুত হবে।