১. সময় যত গড়াবে, কিছু ক্ষেত্রে এমন হতে পারে দুই বন্ধু একে অপরের থেকে আলাদা হতে শুরু করবে। আর বন্ধুত্বের পরিসরে অন্য মানুষের আনাগোনা বেড়ে যাবে। সেটা বন্ধুর পরিবারের মানুষও হতে পারে। এরকম হলে বুঝতে হবে সময় এসেছে। কারণ বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। এখন আর বন্ধুত্বের গুরুত্ব নেই।
২. বন্ধুত্বের সম্পর্কে এমন একটা সময় আসতে পারে, যেখানে কোনও একজনকে অন্যের খারাপ ব্যবহার সব সময়ে সহ্য করতে হচ্ছে। এরকমটা হওয়ার কথা নয়। কারণ, বন্ধুত্বের সম্পর্ক সমানুপাতিক হয়, যে কোনও বিষয়ে বেশিরভাগ সময়ে এক মত পোষণ করাই স্বাভাবিক বন্ধুত্বের লক্ষণ। এর অন্যথায় সম্পর্কের বিচ্ছেদ সঠিক সিদ্ধান্ত।
advertisement
৩. বন্ধুত্বের সম্পর্কে স্বাধীনতা ও সততা সমান তালে চলে। তার মানে এই নয় যে অন্যের করা ভুলের বোঝা নিজের কাঁধে নিতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, কোনও এক বন্ধুর করা গুরুতর অন্যায় কাজে অপর বন্ধুকে তার দায় নিতে বলা হয়, তাও সেটা বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে- এমন সময় বুঝে নিতে হবে সম্পর্কে জটিল সংক্রমণ হয়েছে।
৪. এমন একটা সময় আসতে পারে যখন সব কিছু এক তরফা হয়ে যায়। যখন বন্ধুকে গভীর সঙ্কটের সময় পাশে পাওয়া যায় না। নির্দিষ্টসংশ্লিষ্ট বন্ধু অন্য বন্ধুর খবরটুকু রাখে না। অথচ অন্য বন্ধু নিয়ম করে অপরজনের খবর রাখে। এই সব লক্ষণ শুরু হলে, সেই বন্ধুত্বে ইতি টানতে হবে।
৫. রাম যদি শ্যামের খবর না রাখে তাতে রামের নিজেকে অপরাধী মনে করার কোনও কারণ নেই। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে একজন অপর জনের থেকে আশা করা ব্যবহার পাচ্ছে না। ফলে সে নিজেকে অপরাধী ভাবছে! এর পরেও জোর করে বন্ধুত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। ইচ্ছে না থাকলেও একসঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাচ্ছে। এর মানে কিছুই মন থেকে করা হচ্ছে না। আর মনের বাইরে কিছু করা হলে তার ফল ভালো হয় না। তাই এক্ষেত্রে বন্ধুত্বের বিচ্ছেদ বাঞ্ছনীয়।
৬. কখনও কখনও অনেক বন্ধুদের মাঝে নিজেকে ছোট বা বহিরাগত মনে হতে পারে। কোনও একটা গেট টুগেদারে মনে হতে পারে, আমি না এলেও ওঁদের চলত। কারণ আমাকে নিয়ে কারও কোনও উত্তেজনা নেই। এমন সময় বুঝতে হবে সময় এসেছে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার।
৭. এক বন্ধু আর এক বন্ধুকে পাশে নিয়ে জীবনে এগিয়ে চলে। একজন জীবনে উন্নতি করলে অপর জনকে সাহায্যের জন্য পাশে থাকে। আর যদি সেটা না হয়, যদি দেখা যায় এক বন্ধু অন্য় জনের পাশে নেই, তাহলে সেই ক্ষেত্রে বন্ধুত্বের কোনও মানে নেই। সেই সম্পর্কের বিচ্ছেদ বুদ্ধিমানের কাজ!