সদ্য প্রকাশিত গ্লিডেন-এর রিপোর্টে বেঙ্গালুরুকে দেশের ইনফিডেলিটি ক্যাপিটাল অর্থাৎ বিশ্বাসঘাতকতার রাজধানী বলা হয়েছে৷ সমীক্ষা জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুর ১.৩৫ লক্ষ মানুষ সক্রিয় ভাবে পরকীয়া করছেন৷ তাদের সাইটে এই মুহূর্তে যতজন সক্রিয় ইউজার রয়েছেন তার মধ্যে ৪৩ হাজার মহিলা ও ৯১ হাজার ৮০০ জন পুরুষ বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা৷ ভারতের যেকোনও শহরের থেকে বেশি৷
advertisement
গ্লিডেন-এর মার্কেটিং প্রধান সোলেন পাইলেট জানান, এই সাইটের ২৭ শতাংশ ইউজারই বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা৷ অনেকেই এই সাইটে এসে লেখেন, সাইন ইন করার পর থেকে কীভাবে তার জীবন বদলে গিয়েছে৷ যেমন ৩১ বছরের এক মহিলা লিখেছেন, পরকীয়ায় জড়ানোর পর আমার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল হয়েছে৷ আমার পরিবার ছেড়ে বেরিয়ে আসার কোনও ইচ্ছা নেই৷ আমার ছেলে যদি কোনওদিন জানতে পারে তাহলে আমার মনে হবে৷ বুঝবে এই সম্পর্ক ওর মাকে খুশি করেছিল৷
বেঙ্গালুরুর সাকরা ওয়ার্ল্ড হাসপাতালের কনসালট্যান্ট সাইকিয়াট্রিস্ট নবীন জয়রাম জানান, সাধারণত মনের অমিল, দূরত্ব ও কাজের প্রয়োজনে একে অপরকে দেওয়া সময়ের অভাবেই জীবনে একঘেয়েমি আসে৷
কীভাবে দুটো সম্পর্ক সামলে চলেন এরা? কীভাবেই বা কাটিয়ে ওঠেন অপরাধ বোধ? মনিপাল হাসপাতালের সাইকিয়াট্রিস্ট ভূপেন্দ্র চৌধুরি বলেন, কিছু সময় পর দুটো সম্পর্ক একসঙ্গে বয়ে নিয়ে চলা বোঝা মনে হয়৷ তখন পার্টনারকে জানিয়ে দিতে চান তারা৷ তবে সেই সঙ্গেই তাদের মধ্যে গভীর অপরাধবোধও কাজ করে৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেঙ্গালুরু দেশের আইটি হাব হওয়ার কারণে বিভিন্ন শহর থেকে বহু মানুষ এখানে কাজ করতে আসেন৷ অনেকেই পরিবারের থেকে দীর্ঘ সময় দূরে থাকেন৷ ফলে কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা, কারও সঙ্গ পাওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে৷ যার মধ্যে সব ক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্ক নাও থাকতে পারে৷