এই দেউচা পাঁচামি প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে কয়েক মাস আগে।এলাকার মানুষকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে, দেউচা-পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে একটিও গাছ নষ্ট করা হবে না।
সেই মতো প্রকল্প এলাকার বাইরে এক কিলোমিটারের মধ্যেই ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের চিহ্নিত নির্দিষ্ট জায়গায় ‘ট্রান্সলোকেট’ বা পুনর্বাসন দেওয়ার লক্ষ্যে গাছ তোলার কাজ শুরু হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে কাজ শুরু কয়েক দিনের মধ্যেই আনুমানিক প্রায় দেড় কোটি টাকারও বেশি অর্থ খরচ করে জঙ্গলের ‘পুনর্বাসন’ ঘটাচ্ছে বীরভূম জেলা প্রশাসন।
advertisement
প্রশাসন সূত্রে জানা যায় এই দেউচা পাঁচামিতে রয়েছে অনেকগুলি মৌজা।সেরকমই একটি মৌজার নাম চাঁদা।সেই চাঁদাতেই ছিল এই জঙ্গলটি।বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, “প্রথম ধাপে ১৮০টি গাছকে আমরা তুলে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র বসিয়েছিলাম।শুক্রবার পর্যন্ত মোট ৫৪৬টি গাছকে সরানো হয়েছে।ধাপে ধাপে বাকিগুলিও হবে।”
জেলাশাসক এ-ও জানিয়েছেন যে, প্রথম পর্যায়ে যে ১৮০টি গাছকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক কিলোমিটারের মধ্যে বসানো হয়েছিল,সেই সব গাছেরই ডালে এখন সবুজ পাতার সমাহার। মূলত জানা যায় আদিবাসী মানুষের কাছে জঙ্গল এবং বিশেষ কিছু গাছের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।নির্দিষ্ট কিছু গাছ রয়েছে, যা তাঁদের কাছে পূজনীয়।স্থানীয়দেরই দাবি ছিল আর যাওয়া হবে হোক, শুধুমাত্র জঙ্গল রক্ষা করতে হবেই।
এরপরেই জেলা প্রশাসনের তরফে ডাকা হয় ‘গ্লোবাল টেন্ডার’।সেই দরপত্রের ভিত্তিতেই একটি বেসরকারি সংস্থাকে ওই কাজের দায়িত্ব দিয়েছে প্রশাসন।দু’জন বিশেষজ্ঞকেও নিয়োগ করেছে তারা।বিগত দেড় মাস ধরে জঙ্গল সরানোর কাজ চলছে ডেউচায়। সেই গাছগুলি বর্তমানে সবুজে আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে।তাতেই খুশি এলাকার মানুষেরা।