গাজিয়াবাদের কবি নগরের রঞ্জনা নিউট্রিগ্লো ক্লিনিকের ফাউন্ডার এবং ডায়েটিশিয়ান রঞ্জনা সিং জানিয়েছেন, লাল এবং কমলা গাজর উভয়েই ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন C এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ। এগুলি পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখতে, ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে এবং ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।
advertisement
তবে, তাদের পুষ্টি উপাদানগুলো কিছুটা আলাদা। লাল গাজরের লাল রঙটি লাইকোপিন (Lycopene) এর কারণে, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অপরদিকে, কমলা গাজর তার কমলা রঙের জন্য বিটা-ক্যারোটিন (Beta-Carotene) দায়ী, যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন A তে রূপান্তরিত হয়।
ডায়েটিশিয়ান রঞ্জনার মতে, চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কমলা গাজর বেশি উপকারী, কারণ এর বিটা-ক্যারোটিন চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং নাইট ব্লাইন্ডনেস দূর করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: খোসা-সহ না খোসা ছাড়া! কীভাবে টমেটো খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায় জানুন…
এটি শিশু ও বয়স্কদের জন্য বেশি উপকারী। লাল গাজরের কথা বললে, এতে থাকা লাইকোপিন হৃদরোগের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ত্বককে বার্ধক্যের প্রভাব থেকে রক্ষা করে। যারা উচ্চ রক্তচাপ বা ত্বকের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত, তাদের জন্য লাল গাজর আরও উপকারী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লাল গাজর বেশি মিষ্টি হয় এবং এটি হালুয়া বা জুস তৈরির জন্য ভালো। আর কমলা গাজরকে স্যালাড, স্যুপ বা সবজির মধ্যে বেশি ব্যবহার করা হয়। লাল গাজর শীতে বেশি পাওয়া যায়, কিন্তু কমলা গাজর পুরো বছর জুড়ে বাজারে পাওয়া যায়। যদি আপনি হৃদরোগ, ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তবে লাল গাজর বেশি খান। আর যদি চোখের দৃষ্টি এবং ইমিউনিটি শক্তিশালী করতে চান, তবে কমলা গাজর বেশি উপকারী। তবে, উভয়ই খেলে শরীর দ্বিগুণ লাভ পাবে।