রাজস্থানের বালুকাময় মাটিতে জন্মানো কাচরি একটি বিশেষ ঐতিহ্যবাহী ফল, যা তার মিষ্টি এবং টক স্বাদের জন্য পরিচিত। এই ফলটি সাধারণত বর্ষাকালে দেখা যায় এবং মাত্র ২ থেকে ৩ মাস পাওয়া যায়। কাচরি মূলত তরকারি করে খাওয়া হয়, যা রাজস্থানের গ্রামাঞ্চলের বিশেষ প্রচলিত এক পদ।
রাজস্থানি সংস্কৃতিতে কাচরির তরকারির এক বিশেষ স্থান রয়েছে। অতিথি আপ্যায়ণে প্রায়শই এই সুস্বাদু খাবারটি পরিবেশন করা হয়। এই সবজিটি কেবল স্বাদেই সুস্বাদু নয়, এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. নরেন্দ্র কুমারের মতে, কাচরি শরীরকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করে এবং হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করতে কার্যকর। এটি গ্রীষ্ম বা আর্দ্র আবহাওয়ায় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও, এটি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়ক। কাচরি শুকনো গুঁড়ো হিসেবেও ব্যবহৃত হয়, যা মশলা হিসেবে অনেক খাবারের স্বাদ বাড়ায়। এটি শুকিয়েও দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
advertisement
কীভাবে বাড়িতে কাচরির তরকারি তৈরি করবেন
গৃহবধূ রিনা সংখলা জানান, কাচরির তরকারি তৈরির পদ্ধতি বেশ সহজ। প্রথমে কাচরি ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নেওয়া হয়। একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে গোটা সর্ষে, জিরে, হিং এবং হলুদগুঁড়ো ফোড়ন দেওয়া হয়। এরপর কাটা কাচরি যোগ করে ভাল করে ভাজা হয়। নুন, লঙ্কাগুঁড়ো এবং ধনেগুঁড়ো দিয়ে ভাল করে কষানো হয়। স্বাদ বাড়ানোর জন্য এতে আমচুর বা গুড়ও যোগ করা যেতে পারে। এটি কম আঁচে রান্না করতে হবে যত ক্ষণ না কাচরি নরম হয়ে মশলা থেকে তেল ছাড়ে।
কাচরির তরকারি খাওয়ার উপকারিতা –
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. নরেন্দ্র কুমার বলেন, কাচরির তরকারি খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি হজম ব্যবস্থা সুস্থ রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এছাড়াও, এটি ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ, যা শরীরকে শক্তি সরবরাহ করে। কাচরির তরকারি জলশূন্যতা রোধ করে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই, গ্রীষ্মকালে এর ব্যবহার বিশেষভাবে উপকারী বলে মনে করা হয়।