তবে বহু ব্যবসায়ী কম সময়ে বেশি পরিমাণ লাভ করার জন্য ফল পাকাতে ইথিলিন-সহ নানা রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এতে ফলও দ্রুত পাকে ঠিকই, কিন্তু ফলের প্রাকৃতিক গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যাবে। আর আজকাল ফল কিংবা সবজিতে রাসায়নিক ব্যবহারের পরিমাণ প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু এটা আবার স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। নানা বিপজ্জনক রোগ হতে পারে। এই কথা জানিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও।
advertisement
আরও পড়ুন: দাঁতের সমস্যায় কাবু? প্রাকৃতিক উপায়ে প্রতিকারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ
রাজস্থানের আলওয়ার জেনারেল হাসপাতালের পিএমও ডা. সুনীল চৌহান জানিয়েছেন যে, ফল এবং সবজিতে যে রাসায়নিক দেওয়া হচ্ছে, তা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ফল পাকাতে ইথিলিন গ্যাস-সহ নানা রাসায়নিক ব্যাপক হারে ব্যবহার করা হচ্ছে। আসলে রাসায়নিকের ব্যবহারের ফলে ফল এবং সবজিকে বিষাক্ত হয়ে যায়। রাসায়নিক মেশানো ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার কারণে পেট খারাপের মতো সমস্যা হতে শুরু করে। এমনকী পেটের নানা রোগ পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরানো, মানসিক অবস্থার ব্যাঘাত, মানসিক বিভ্রান্তি, লিভার, কিডনি এবং হার্ট সংক্রান্ত রোগের হার বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে মানবদেহের চরম ক্ষতি হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বাড়ির সুইচবোর্ডে ময়লা পড়ে নোংরা হয়ে গেছে! এই টিপসে নিমেষে হবে নতুনের মতো ঝকঝকে
যদি কোনও ব্যক্তি ক্রমাগত রাসায়নিক সমৃদ্ধ ফল এবং শাকসবজি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করেন, তাহলে তার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব আমাদের শরীরের উপর পড়ে। এমনকী ক্যানসারের মতো মারণ ব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। আর আলোয়ার জেলা হাসপাতালে এমন অনেক রোগী ভিড় করতেন। তবে এই সমস্যা এড়ানোর জন্য অন্যতম ভাল উপায় হল জৈব খাবার খাওয়া।
এই প্রসঙ্গে ডা. সুনীল চৌহান জানান যে, ফলের বাজার থেকে ফল কিনে রাসায়নিক দূর করার জন্য তা গরম জলে আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে দেওয়া উচিত। আধ ঘণ্টা পর তা ফের পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে রাসায়নিকের পরিমাণ কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব। আর এভাবে ফল অথবা সবজি খাওয়া হলে বিপজ্জনক রোগের ঝুঁকিও অনেকটাই কমানো যাবে।