সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টাওয়ারের মূল কাঠামো ভেঙে গেলেও, তার অবশিষ্টাংশ আজও নীরবে অতীতের গৌরব ও রাজকীয় ইতিহাসের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ওয়াচ টাওয়ারের শীর্ষ থেকে জয়চণ্ডী পাহাড় ও আশেপাশের প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য চোখে পড়ে, যা পর্যটকদের মুগ্ধ করে। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রকৃতির অনন্য মেলবন্ধনে এই স্থানটি আজ পুরুলিয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
advertisement
যদিও ধ্বংসাবশেষ এই ওয়াচ টাওয়ার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগী হওয়ার কথা জানিয়েছেন। রঘুনাথপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান তরণী বাউরী বলেন, আমাদের রঘুনাথপুর তো বটেই, জয়চণ্ডী পাহাড়ে আসা সকল পর্যটকের কাছেই এই ওয়াচ টাওয়ার একটি ঐতিহ্যের প্রতীক। আমরা চেষ্টা করছি যাতে এটি সংস্কার করে নতুনভাবে সুন্দর একটি মডেল তৈরি করা যায়।”
প্রকৃতি ও ইতিহাসপ্রেমীদের কাছে জয়চণ্ডী পাহাড়ের এই প্রাচীন ওয়াচ টাওয়ার আজও এক অমূল্য ঐতিহ্য, যা অতীতের রাজকীয় গৌরব ও বর্তমানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে একসূত্রে বেঁধে রেখেছে।
শান্তনু দাস