সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ডাওরি নালা সাড়া ফেলেছে। চারপাশ জঙ্গল আর টিলায় ঘেরা ওই হাঁ মুখের নিচ থেকে পাহাড়ি ঝর্নার জল নেমে এসেছে সমতলের শোভা নদীতে। আর এই অপরূপ সুন্দর দৃশ্য অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। বাঘমুন্ডির কুদনা গ্রাম থেকে দেড় কিমি দূরে অবস্থিত এই ডাউরি খাল বা ডাউরি নালা।
advertisement
আরও পড়ুনBengali Special Sweet: বাংলার বিশেষ মিষ্টি লেউড়ি, সারা বছর নয় পাবেন শুধু মূলাষষ্ঠীর সময়
এ বিষয়ে কুদনা গ্রামের বাসিন্দা সনু কুমার বলেন , আগে পর্যটকরা জানতেন না অযোধ্যা পাহাড়ে ডাউরি খালের মত সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে। এই ডাউরি নালা আসার পথ ভীষণই দুর্গম। পাহাড়ি চড়াই উতরাই পথ পেরিয়ে আসতে হয় এই জায়গায়। পর্যটকদের গাইড করে তারাই নিয়ে আসেন। প্রায় দু কিলোমিটার দুর্গম পথ পেরোতে হয় পর্যটকদের। ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট সময় লাগে এই জায়গায় আসতে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বহু পর্যটক ছুটে আসেন এর ভয়ংকর অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে। এর আগে এই জায়গাটা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সেভাবে পরিচিতি পায়নি। কিন্তু ১৭ বছর আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা ডাইরি নালার পরিচিতি বৃদ্ধি করেছে। তবে বছরের অন্যান্য সময় ডাউরি নালা আসা গেলেও বর্ষার দিনে পুরোপুরি বন্ধ থাকে এই টুরিস্ট স্পটটি।
ডাওরি নালা পৌঁছাতে গেলে প্রথমে বলরামপুর-বাঘমুন্ডি সড়কপথে বহড়াতল মোড়ে নামতে হবে , তারপর সেখান থেকে গাড়ি বা মোটরবাইকে কম-বেশি সাত কিমি পেরিয়ে পৌঁছাতে হবে কুদনা গ্রামে। সেখান থেকে হাঁটা পথ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই ডাউরি খাল যাওয়ার। চাষের জমি , জঙ্গল , পাহাড়ি পথ পেরিয়ে যেতে হবে ডাউরি নালায়। যাওয়া-আসা মিলিয়ে লেগে যায় প্রায় দেড় থেকে দু’ঘণ্টা।
আরও পড়ুনChristmas Santa Clause: বড়দিন আসছে, রাস্তায় লাল পোশাকে স্যান্টাক্লজ! আসলে কে ইনি?
স্থানীয় গাইড ছাড়া এই ডাওরি নালয় যাওয়া বিপদজনক হতে পারে। তাই যারা রোমাঞ্চ ভালবাসেন তারা এখানে এলে স্থানীয় গাইড নিয়ে ডাউরি মুখী হন। পায়ে পায়ে পথ নির্দেশিকা না থাকলে কোনওভাবেই যাওয়া যায় না এই দুর্গম জায়গায়। তবে বিকাল পাঁচটা বাজার আগেই সেখান থেকে চলে আসাই ভাল। নাহলে যে কোনও সময় জঙ্গল পথে হাতি বা জংলী জীবজন্তুর মুখোমুখি পড়তে হতে পারেন। তাই স্থানীয় গাইড নিয়েই ডাওরিনালা যাওয়াই শ্রেয়।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি