না, চাঁদ-তারা পেড়ে আনার প্রতিশ্রুতি নেহাতই কথার কথা। কিন্তু বাকিগুলো! পুরুষদের মিথ্যেবাদী বলা হচ্ছে না। কিন্তু আদতে তাঁরা যেটা ঠিক মনে করেন, তার উপর ভিত্তি করেই প্রতিশ্রুতি দেন। সোজা কথায়, পুরষের যদি মনে হয় তাঁর প্রতিশ্রুতিতে প্রেমিকা তাৎক্ষণিকভাবে খুশি হবেন, তাহলে আগুপিছু না ভেবে নির্দ্বিধায় সেটা তাঁরা অনেকেই বলে দেন।
advertisement
পুরুষরা যে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিশ্রুতি ভাঙেন, তা কিন্তু নয়। পরিস্থিতির চাপ থাকে। আবার কখনও কখনও তাঁরা এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসেন, যেটা রাখা পারতপক্ষে কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। আসলে কোনও মানুষই নিখুঁত নয়। ভুল হয়ে যায়। কিন্তু এর সঙ্গে অজুহাতকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। এখানে কিছু প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করা হল যেগুলো পুরুষরা করেন ঠিকই, কিন্তু পালন করেন কম।
হিংসে করব না: ‘কখনও হিংসা করব না’। এমন প্রতিশ্রুতি পুরুষরা হামেশাই দেন। কিন্তু আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সোজা কথা নয়। প্রেমিকা পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিলে প্রেমিকের হিংসা হয়। এটা বাস্তব। বিশ্বাসের ভিত মজবুত হলে হিংসা হওয়ার কোনও কারণ নেই। কিন্তু প্রবৃত্তি! এমন প্রতিশ্রুতি না দিয়ে প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
চিরকাল একসঙ্গে থাকব, সবসময় ভালোবাসব: যখন প্রেমিক এই কথা বলেন, তখন হৃদয় থেকেই বলেন। এই প্রতিশ্রুতির মধ্যে কোনও কপটতা নেই। কিন্তু ওঠানামাই জীবন। মন, অনুভূতির পরিবর্তন হয়। তাই এমন প্রতিশ্রুতির কোনও দাম নেই। তাই বলে প্রেমিকের উপর সন্দেহ করাটাও ঠিক নয়। শুধু সচেতন হতে হবে। আসলে এই ধরনের প্রতিশ্রুতির কোনও গ্যারান্টি নেই।
কোনও কথা গোপন করব না: পুরুষরা সবসময় প্রেমিকাকে বলেন, ‘তোমার কাছে কোনও কথা লুকোব না’। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতিও রাখা সম্ভব হয় না। অবৈধ সম্পর্ক এবং ব্যক্তিগত সীমানার মধ্যে সূক্ষ সীমারেখা থাকে। বন্ধু বিচ্ছেদ বা অফিসের সমস্যা নিয়ে চিন্তা থাকাটাও অস্বাভাবিক নয়। সেটাকে ব্যক্তিগতভাবে নিলে চলবে না। আবার অন্যকে প্রভাবিত করতে পারে এমন ভুল কখনওই লুকানো উচিত নয়। এতে সম্পর্কের উপর প্রভাব পড়ে।