সময় নিন: ‘ও কথা রাখে না’। প্রতিশ্রুতি ভাঙলেই এমন সিদ্ধান্তে আসা ঠিক নয়। বরং সময় নিতে হবে। চিন্তা করতে হবে, প্রতিশ্রুতিটা কি বাস্তবসম্মত ছিল? কিংবা এটা কি খুব গুরুত্বপূর্ণ? এছাড়া সঙ্গী বা সঙ্গিনী কতবার এমনটা করলেন, সেটাও ভেবে দেখা উচিত। নিয়মিত ঘটনা না কি একবারের ব্যাপার? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
advertisement
কেন এমনটা হল তা নিয়ে আলোচনা: শুধু বিশ্বাস এবং সম্মান নয়, দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য খোলামেলা আলোচনাটাও জরুরি। সুতরাং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের মতো ঘটনা ঘটলে প্রথম কাজই হবে, তাঁর সঙ্গে কথা বলা। এতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের মূল কারণটা বোঝা যাবে। এতে একে অন্যের আরও কাছাকাছি আসা যায়।
একসঙ্গে সমাধানে আসা: কেন প্রতিশ্রুতি রাখা সম্ভব হল না সেই নিয়ে কথা বলা ছাড়াও এই সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান কী হতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা করতে হবে। যাতে পুনরায় এমনটা না ঘটে সেটা নিশ্চিত করাই প্রধান কাজ। আবার ঘটলে তার পরিণতি কী হতে পারে সেই নিয়েও আলোচনা করা যায়। এই আলোচনার মধ্যে দিয়েই ধীরে ধীরে হারানো বিশ্বাস ফিরে আসবে।
ক্ষমা করে দেওয়াই ভাল, কিন্তু ভোলা উচিত নয়: মানুষ প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু সবসময় তা পালন করা সম্ভব হয় না। কিন্তু তাই বলে তারা খারাপ মানুষ হয়ে যায় না। সোজা কথায় ভুল হতেই পারে। তাই ক্ষমা করে দেওয়াই ভাল। কিন্তু ঘটনাটা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে যদি তার গুরুত্ব অপরিসীম হয়। সেটা মনে জোর এনে দেবে, তৈরি রাখবে ভবিষ্যতের জন্যও।