পেরিনেটোলজি:
এটি হল ওবস্টেট্রিকস-এর সাব-স্পেশালিটি। এতে মূলত ভ্রূণের যত্ন এবং জটিল প্রেগনেন্সির উপরই জোর দেওয়া হয়। পেরিনেটোলজি আবার ম্যাটারনাল ফিটাল মেডিসিন নামেও পরিচিত। এর উদ্দেশ্য কী?
ভ্রূণের বিকাশ-বৃদ্ধি এবং ভাল থাকার বিষয়টার উপর নজর দেওয়া উচিত।
ভ্রূণের স্বাস্থ্য বজায় রাখা।
ভ্রূণের রোগ কিংবা অস্বাভাবিকতা নির্ণয়।
advertisement
ফিটাল মেডিসিনের প্রয়োজনীয় অংশের সঙ্গে যুক্ত পরিষেবাগুলি হল:
আল্ট্রাসাউন্ড:
গর্ভধারণ থেকে প্রসব পর্যন্ত ২ডি এবং ৩ডি আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানের মধ্যে পড়ে:
আর্লি প্রেগনেন্সি স্ক্যান:
প্রেগনেন্সির অবস্থা নির্ণয় করা হয়। অর্থাৎ এটা জরায়ু কিংবা গর্ভাশয় না তার বাইরে তৈরি হয়েছে, সেটাই নির্ণয় করতে এই স্ক্যান। জরায়ুর বাইরে প্রেগনেন্সির অবস্থা তৈরি হলে তা তাড়াতাড়ি ধরা না-পড়লে মায়ের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়। আর্লি প্রেগনেন্সিতে এটা কিন্তু জরুরিকালীন অবস্থা।
আরও পড়ুনঃ বাংলার প্রথম শতাব্দী প্রাচীন সরস্বতী মন্দির রয়েছে এই জেলাতে, চলছে পুজোর প্রস্তুতি
প্রথম ট্রিমেস্টার স্ক্যান (তৃতীয় মাসের স্ক্যান):
এই স্ক্যানের মাধ্যমে ভ্রূণের ঝুঁকি আছে কি না, সেটাই পরীক্ষা করা হয়। আসলে ভ্রূণের জিনগত অস্বাভাবিকতা বিশেষ করে ডাউনস সিন্ড্রোম রয়েছে কি না, তা এই স্ক্যানের মাধ্যমেই পরীক্ষা করা হয়। গর্ভাবস্থার তিন মাসে এনটি স্ক্যান এবং ডবল মার্কার ব্লাড টেস্ট করা হয়। এই পরিস্থিতিতে হবু মা-বাবা যদি প্রেগনেন্সি চালিয়ে যেতে না চান, তা-হলে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন।
অ্যানোম্যালি স্ক্যান (পঞ্চম মাসের স্ক্যান):
ভ্রূণের মধ্যে কাঠামোগত স্বাভাবিকতা রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। ধরা যাক, কোনও দম্পতি একটাই স্ক্যান করাতে পারবেন, সে-ক্ষেত্রে তাঁদের এই স্ক্যানটা করানোই বাঞ্ছনীয়। কাঠামোগত কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে তা হবু মা-বাবার সঙ্গে আলোচনা করা হয়। যদি দেখা যায়, এটা প্রাণঘাতী, তাহলে প্রেগনেন্সি না-চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ সরস্বতী পুজোয় বৃষ্টি হবে? নাকি বাড়বে অস্বস্তি? হাওয়া অফিসের বিরাট আপডেট
ফিটাল ইকো কার্ডিওগ্রাফি
গ্রোথ অ্যাসেসমেন্ট
ফিটাল ডপলার অ্যাসেসমেন্ট (ব্লাড ফ্লো অ্যাসেসমেন্ট)
মাল্টিপল প্রেগনেন্সি স্ক্যানিং এবং সারভেইলেন্স
কমপ্লিকেডেট ট্যুইন প্রেগনেন্সির জন্য থেরাপি:
এই ধরনের প্রেগনেন্সিকে মোনোকোরিওনিক প্রেগনেন্সি নামেও ডাকা হয়।
ট্যুইন টু ট্যুইন ট্রান্সফিউশন সিন্ড্রোমের জন্য ইন্ট্রা ফিটাল লেসার ফোটোকোয়াগুলেশন।
রেডিওফ্রিকোয়েন্সি এব্লেশন।
বাইপোলার কর্ড কোয়াগুলেশন।
আরও পড়ুনঃ দারুণ চমক দিলেন ইষ্টি কুটুম নায়িকা, চিনে নিন পাত্রকে, দেখুন বিয়ের অ্যালবাম
জিনগত স্বাভাবিকতা প্রমাণ করার জন্য ফিটাল ইনভেসিভ প্রক্রিয়া:
কোরিওনিক ভিলাস স্যাম্পলিং (সিভিএস)
অ্যাম্নিওসেন্টেসিস
ফিটাল ব্লাড স্যাম্পলিং
ফিটাল থেরাপি:
ফিটাল অ্যানিমিয়ায় ইন্ট্রা ইউটেরাইন ট্রান্সফিউশন
মাল্টিফেটাল প্রেগনেন্সি রিডাকশন
প্রি প্রেগনেন্সি জেনেটিক কাউন্সেলিং:
আত্মীয়দের মধ্যে বিয়ে হলে সাধারণত এই কাউন্সেলিং প্রয়োজন। বিশেষ করে যে পরিবারে অস্বাভাবিক বাচ্চার জন্মের ইতিহাস রয়েছে।
পেরিনেটাল প্যাথোলজি (ফিটাল অটোপ্সি):
ভ্রূণের অবস্থা নির্ণয় কিংবা নজরদারি করার ক্ষেত্রে প্রযুক্ত অনেক উন্নত হয়েছে। এর ফলে ফিটাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করতে পারছেন। যাতে নিরাপদে এক জন মা তাঁর বাচ্চার জন্ম দিতে পারেন।