এই সময় সাধারণ মহিলাদের তুলনায় গর্ভবতীদের শরীরে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত রক্ত তৈরি হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির ফলে কিডনিও অতিরিক্ত কাজ করে। যার ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব এবং ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। এতেও ত্বক এবং ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এ থেকে মুক্তি পেতে কয়েকটি উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে।
advertisement
শুধুমাত্র নিরাপদ উপাদান: এক্ষেত্রে লিপবাম নিরাপদ। তবে গর্ভাবস্থায় অবশ্যই কিছু উপাদান এড়িয়ে চলতে হবে। হাইপোঅ্যালার্জেনিক (অ্যালার্জিক রাসায়নিক ছাড়া) এবং সুগন্ধি-মুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করাই ভাল। গর্ভাবস্থায় শুষ্ক ঠোঁট পুনরুদ্ধারে সাহায্য করার জন্য কিছু নিরাপদ এবং প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা কেনার আগে লিপ বামের লেবেলে দেখে নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন : স্বাদ-গঠন একই রকম, হলুদ কুসুমও আছে! নিরামিষাশীদের প্রোটিন জোগাতে ভেগান ডিম একাই একশো!
নারকেল তেল: এটি একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার এবং একটি ইমোলিয়েন্ট যা পাতলা ঠোঁটের ত্বকের মধ্যে আর্দ্রতা আটকে রাখে। এটি ব্যথা উপশমকারী হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ফাটা ঠোঁটের জন্য অত্যন্ত দরকারি।
মোম: মৌচাক থেকে প্রাপ্ত মোম আর্দ্রতা আটকাতে এবং সূক্ষ্ম ত্বককে রক্ষা করার জন্য একটি প্রাচীর তৈরি করে। পাশাপাশি শুষ্ক বাতাস থেকেও ঠোঁটকে রক্ষা করে।
পেট্রোলিয়াম জেলি: আর্দ্রতা হ্রাস রোধ করতে এবং একটি ঘন জলরোধী বাধা তৈরি করতে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যায়। এটি শুষ্ক এবং জ্বালাপোড়া ত্বককেও নিরাময় করে এবং ঠোঁটকে দীর্ঘ সময়ের জন্য আর্দ্র রাখে।
আরও পড়ুন : হলুদ সঠিকভাবে ব্যবহার করলে কেটে যাবে দুর্ভাগ্য, মিলবে টাকা
কোকো বাটার: কোকো বীজ থেকে তৈরি প্রাকৃতিক কোকো বাটার ঠোঁটের জন্য একটি নিরাপদ ময়েশ্চারাইজার। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ইমোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং শুষ্ক ও ফাটা ঠোঁট নিরাময় করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষতিকর প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়।
শিয়া বাটার: প্রায়শই কোকো বাটারের সঙ্গে এটা একত্রে ব্যবহার করা হয়। এই বাটার আদতে একটি প্রাকৃতিক চর্বি যা ঠোঁটের মধ্যে আর্দ্রতা আটকে রাখে। ফলে ঠোঁট থাকে নরম এবং আর্দ্র।