ফলনের মরশুমে চাষিরা লেগে পড়েন সারো কচু তুলে ধুয়ে বস্তা বন্দি করে রফতানিকরতে। স্থানীয় কৃষক মিন্টু দাস চাষ করেছেন এই সবজি। তিনি জানান, সারো কচু চাষ করতে বীজ গুলো কেটে শুকিয়ে মাস তিনেক পরে লাগানো হয়। মাটি খুঁড়ে দুই দিন অন্তর অন্তর জলদিতে হয়,ধান চাষের সমান জল প্রয়োজন হয় এই কচু চাষে। স্থানীয় ওলা বাজারে এবং দুর্গাপুর, শিয়ালদহে যায় গাড়িতে করে।
advertisement
আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে নোংরা শহর কোনটা জানেন? রাজ্যের এক শহর, নাম দেখলে আকাশ থেকে পড়বেন
এক একটি গাড়িতে ৫০ থেকে ৬০ কুইন্টাল কচু থাকে। স্থানীয়রা মাছের সঙ্গে ঝোল করে এই সবজি খেয়ে থাকেন। মাঘ, ফাল্গুন মাস করে লাগানো হয়ে থাকে এই সবজি। শীতের শুরুতে ফলন পাওয়া যায়। ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হয় কচু। জোগান থাকলে ১৫-২০ টাকায় নেমে আসে দাম।
বাঁকুড়ার আনাচে কানাচে দেখা যায় নতুন নতুন শাক-সবজি। মাটি যতই রুক্ষ শুষ্ক হোক না কেন, চাষিরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চাষ করে যান সারা বছর। সেই কারণেই ট্রেনের যাত্রীদের মন যে চিপসে মজে যায়, সেই চিপস তৈরির সবজি জোগান দেয় বাঁকুড়া জেলা, যা জানেন না অনেকেই।