দূষণের পর স্বাস্থ্য সমস্যা বৃদ্ধি –
আম্বালা ক্যান্টনমেন্ট সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা সঞ্জীব কুমার লোকাল 18-কে জানিয়েছেন যে, দীপাবলির রাতে আতসবাজির ধোঁয়ার কারণে তাঁর মেয়ে পূরবীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান, সেখানে চিকিৎসকরা ওষুধ দেন এবং চিকিৎসা শুরু করেন। সঞ্জীব বলেন, তাঁর মেয়ের অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে, তবে তিনি বলেন যে দূষণের কারণে এই সমস্যাটি বেশ সাধারণ হয়ে উঠেছে।
advertisement
সিভিল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. দিলীপ আরও জানান যে, দীপাবলির পর থেকে হঠাৎ করেই শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বেশির ভাগ রোগীই শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা, চোখে জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যায় ভোগেন। তিনি বলেন যে, পটকা থেকে নির্গত ধোঁয়া এবং বাতাসে রাসায়নিক দূষণ জনগণের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব প্রতিরোধের উপায় –
দূষণ এড়াতে মানুষকে বিশেষ কিছু ব্যবহার করার কথাও জানিয়েছেন ডা. দিলীপ। তিনি জানান যে, দূষণের এই যুগে মানুষকে বাইরে বের হতে হলে মাস্ক পরতে হবে। বিশেষ করে বৃদ্ধ, শিশু এবং হাঁপানি রোগীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, তিনি লোকজনকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ এখন বাইরের বাতাসে দূষণের মাত্রা বেশি।
আরও পড়ুন : অরুণাচল প্রদেশে হিমালয়ের দুর্গম শৃঙ্গ গোরিচেন জয়! বেনজির কৃতিত্ব গ্রামের ভূগোল শিক্ষকের
পরিবেশে অতিরিক্ত ধুলোবালি ও ধোঁয়ার কারণে মানুষের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ডা. দিলীপ বলেন, এই সময়ে বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতা বেশি থাকে, যা বাতাসে ধোঁয়া ও দূষণকারী পদার্থকে দীর্ঘ সময় ধরে রাখে, যার কারণে দূষণের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
দূষণের প্রভাবে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে –
এই দূষিত বাতাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধরা। ডা. দিলীপ বলেন যে, যাঁদের আগে থেকেই হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস বা অন্যান্য শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক হওয়া দরকার। এই সময়ে যদি এই ধরনের লোকেরা বাইরে যায়, তবে তারা মাস্ক পরে এবং তাদের মুখ ঢেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে।
সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ –
ডা. দিলীপ আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে, কারও যদি শ্বাসকষ্ট, চোখের জ্বালা বা গলা ব্যথার মতো সমস্যা থাকে তবে অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। দূষণের কারণে উদ্ভূত এই সমস্যাগুলি প্রায়শই গুরুতর হয়ে উঠতে পারে, তাই সময়মতো চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন।