অপূর্বার মতে পোস্তদানায় প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম আছে। আমাদের কোষের সুস্বাস্থ্যের জন্য খনিজ ম্যাগনেসিয়াম অত্যন্ত উপকারী। ম্যাগনেসিয়াম আমাদের শরীরের স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোলের মাত্রা কমায়। ম্যাগনেসিয়ামের দৌলতে এই হরমোনের পরিমাণ কমার জন্য সুনিদ্রা হয়। ফলে ডায়েটে পোস্তদানা থাকলে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে গাঢ় ঘুম হয়। অনিদ্রার সমস্যা থাকলে পোস্ত খাওয়ার রীতি প্রচলিত বহু দিন ধরেই।
advertisement
আরও পড়ুন : আজিনামোতো কতটা ক্ষতিকর? এ বার চাইনিজ রান্নায় দেওয়ার আগে জানুন সঠিক তথ্য
পোস্তদানার শীতল প্রভাব সব রকমের ইনফ্লেম্যাশন কমাতে সাহায্য করে। স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতা নির্ভর করে পোস্তর গুণে। পোস্তদানার পুষ্টিগুণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। মানসিক প্রশান্তি আসে। অ্যাকনে-সহ অন্যান্য ত্বকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে। পিসিওডি, স্পার্ম মোবিলিটি-র মতো হরমোনঘটিত অসুখ কমাতে সাহায্য করে পোস্ত। মেয়েদের ক্ষেত্রে মূত্রনালীতে সংক্রমণ, গাঁটের ব্যথার মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রিত হয় পোস্তর গুণে।
ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফাইবারের মতো উপাদানের জন্য পোস্তদানা মহিলাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে অতিরিক্ত পোস্ত খেলে তার কুপ্রভাব পড়বে শরীরে। তাই পুষ্টিবিদদের মত, ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে পোস্ত ডায়েটে রাখা যায়।