একেবারে গোড়া থেকেই উৎসবের আমেজ ধরে রাখতে একটি সিগনেচার ওয়েলকাম ড্রিঙ্কের মাধ্যমে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাবে ট্যামারিন্ড। ডাবের জলের মধ্যে লেবুর রস, লেমন জেস্ট এবং মধু মিশিয়ে তৈরি এই ড্রিঙ্কে গলা ভেজালেই শরীরে আসবে সতেজতা। কারণ থালির মজা তো এখনও বাকি! কিন্তু কী কী থাকতে চলেছে এলাহি আয়োজনে?
advertisement
নন-ভেজ স্টার্টারের মধ্যে থাকবে ভেটকি তাওয়া ফ্রাই। বাঙালিদের পছন্দের ভেটকি মাছকে ম্যারিনেট করা হবে সর্ষে এবং কারি পাতার মতো দক্ষিণী মশলা দিয়ে। তারপর ক্রিস্পি করার জন্য প্যান-ফ্রাই করা হবে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, কতটা লোভনীয় হতে চলেছে এই পদ। এখানেই শেষ নয়, মুঘলাই-প্রেমীদের কথা মাথায় রেখে থাকছে চিকেন মালাই কাবাবও। আবার অন্য দিকে, নিরামিষের ক্ষেত্রেও রয়েছে স্টার্টারের ঢালাও ব্যবস্থা। এর মধ্যে অন্যতম হল উত্তর ভারতের প্রিয় হরা ভরা কাবাব। এর পাশাপাশি থাকবে মকাই মালাই শিকও।
এ তো সবে শুরু! এখনও তো অনেক কিছু বাকি। মেন কোর্সে প্রথমেই থাকছে কাজু পোলাও। এটা অবশ্য আমিষ এবং নিরামিষভোজী উভয়েই চেখে দেখতে পারবেন। এর সঙ্গে পরিবেশিত হবে একটা টক-মিষ্টি আমবাত ডাল। দক্ষিণ ভারতীয় কায়দায় সর্ষে, কারি পাতা এবং শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে তেঁতুলের এই ডাল রসনাতৃপ্তি করবে। এর পাশাপাশি থাকবে কেরলের জনপ্রিয় মালাবার পনীর। আর থাকছে তামিলনাড়ুর জনপ্রিয় চিংড়ি মাছের পদ সিগড়ি ভেল্লা কোর্মা।
এখানেই শেষ নয়, ট্যামারিন্ডের উৎসবের বিশেষ আয়োজনে থাকছে ভুনা গোশত, ছানার কোফতা এবং কেরলের ক্লাসিক ভেজ স্ট্যু-ও। অন্যদিকে থাকছে বেনারসি আলুর দম এবং পঞ্জাবিদের পছন্দের স্টাফড কুলচাও। সঙ্গে কেরলের জনপ্রিয় আপ্পাম তো থাকতেই হবে! আর থালিতে এত কিছুর পাশাপাশি রাখা হয়েছে গ্রিন স্যালাডও।
তবে শেষ পাতে কি মিষ্টি না হলে চলে! তাই থাকছে বাঙালিদের অত্যন্ত পছন্দের কাঁচা আমের চাটনি, পাঁপড় ভাজাও। এর পাশাপাশি বাঙালিদের মিষ্টি-প্রেমের কথা মাথায় রেখে মালপোয়ার সঙ্গে পরিবেশন করা হবে রাবড়িও। আর সব শেষে থাকবে ম্যাঙ্গো আইসক্রিম। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, থালি ফেস্টে এত কিছু খাবার মিলবে খুবই কম দামে। আমিষ মেন্যুর জন্য দিতে হবে মাত্র ৮৭৫ টাকা + ৫ শতাংশ জিএসটি। আর নিরামিষ মেন্যুর দাম মাত্র ৭২৫ টাকা + ৫ শতাংশ জিএসটি।