ওদিকে সামনেই আসতে চলেছে বাঙালির নতুন বছর। পয়লা বৈশাখে প্রথা মেনে সব বাড়িতেই আয়োজন হবে মিষ্টিমুখের। এক্ষেত্রে ঘরে তৈরি মিষ্টির আলাদা আদর রয়েছে সব সময়েই। কেমন হয়, যদি এই নতুন বছরে অতিথি আর পরিবারের সদস্যদের পাতে তুলে দেওয়া যায় নিজের হাতে বানানো রাজভোগ?
দেখে নেওয়া যাক তার রেসিপি!
৮ জনের জন্য রাজভোগের উপকরণ:
advertisement
২০০ গ্রাম পনির বা ছানা
১/৪ কাপ কাজু
১/৪ আমন্ড
১/৪ পেস্তা
৫টি জাফরান
১ চা চামচ এলাচের গুঁড়ো
২ কাপ জল
১ কাপ চিনি
২ টেবিল চামচ দুধ
কীভাবে রাজভোগ বানাতে হবে
ধাপ ১. বাদাম গুঁড়ো করা এবং চিনির রস বানানো
প্রথমে কাজুবাদাম, পেস্তা, আমন্ড গুঁড়ো করে তাতে এলাচের গুঁড়ো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এই সময় ২ টেবিল চামচ দুধে জাফরান ভিজিয়ে সরিয়ে রাখতে হবে। ২ কাপ জল গ্যাসে চাপিয়ে ১ কাপ চিনি দিয়ে চিনি মিশে যাওয়া পর্যন্ত ভালভাবে নাড়াতে হবে- ব্যস, রস তৈরি।
আরও পড়ুন- পয়লা বৈশাখে ভূরিভোজ করবেন? দেখুন এই পাঁচতারা রেস্তোরাঁগুলির মেন্যুতে কী কী থাকছে
ধাপ ২. ছানার বল তৈরি
রাজভোগ তৈরির জন্য আমরা বাড়িতে তৈরি ছানা কিংবা বাজার থেকে কেনা পনিরও ব্যবহার করতে পারি। এই রেসিপিতে রেডিমেড পনিরক ব্যবহার করা হচ্ছে, তাই পনির পিষে নিয়ে তাতে জাফরান দুধ মিশিয়ে আবার ভাল করে ডলা পাকাতে হবে।
ধাপ ৩. রাজভোগ বানানো
পনির মাখা থেকে মাঝারি মাপের লেচি বানাতে হবে এবং একটি গর্ত করে তাতে বাদামের মিশ্রণ দিয়ে ধীরে ধীরে বলের আকার দিতে হবে। এবার ধীরে ধীরে বলগুলো চিনির রসে ডুবিয়ে রান্না হতে দিতে হবে।
ধাপ ৪. রাজভোগ পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত
পনোর বলগুলি কম/মাঝারি আঁচে ১৫ মিনিট ফুটতে দিতে হবে চিনির রসে। তারপর আঁচ থেকে সরিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করতে হবে। বলগুলো রসে ফোটার সময়ে ভেঙে যেতে পারে, তাই বেশি নাড়ানো যাবে না। এবার ঠান্ডা করে রাজভোগ পরিবেশন করা যায়।
পরামর্শ:
রাজভোগে ঐতিহ্যবাহী স্বাদ আনতে আমরা উপরে একটা করে কিসমিস সাজিয়ে দিতে পারি। চিনির রসে আরও লোভনীয় স্বাদ আনতে তাতে সামান্য জাফরান এবং এলাচের গুঁড়ো দেওয়া যায়।