কিন্তু জীবন তো আর থেমে থাকে না। লকডাউনের পর আনলকও হয়েছে। ধীরে ধীরে বিয়ের অনুষ্ঠানও শুরু হয়েছে। তবে করোনা কিন্তু এখনও বিদায় নেয়নি। তাই পাত্রপাত্রী থেকে অতিথি-অভ্যাগত, সবাইকে মানতে হবে কিছু নিয়ম।
হবু বর আর কনের জন্য:
• অতিথি-অভ্যাগত, হেয়ার ড্রেসার, মেকআপ আর্টিস্ট এঁদের সঙ্গে থাকতেই হবে কিছুক্ষণ। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মুখে মাস্ক পরা মাস্ট। সব চেয়ে ভালো হয় যাঁরা কনে বা বরকে সাজাচ্ছেন তাঁরা যদি PPE স্যুট পরেন।
advertisement
• কনের হাতে মেহেন্দি বা আলতা থাকতে পারে। বার বার হাত ধুতে অসুবিধে হলে সঙ্গে একটা ছোট্ট বটুয়ায় স্যানিটাইজার রাখা যায়।
• বিয়েবাড়ির টয়লেট থেকে বর-কনের বসার সিট, সব ভালো করে স্যানিটাইজ করতে হবে।
• যাঁরা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস থাকবে। তাঁরা সব সময়ে এটা খেয়াল রাখবেন যেন আনন্দের জোয়ারে ভাসতে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ না হয়।
• হ্যান্ডশেক, আলিঙ্গন করা- এগুলো এখন তোলা থাক। যাঁরা আশীর্বাদ করবেন, তাঁরা দূর থেকে করলে ভালো এবং বর-কনেও শুধু নমস্কার জানালে ভালো হয়।
• অতিথির সংখ্যা কম রাখা দরকার। যাঁরা বাদ পড়লেন, তাঁদের বুঝিয়ে বলতে হবে।
বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য:
• অনুষ্ঠান বাড়ির ভিড়ে যাওয়ার আগে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া বাঞ্ছনীয়। বাড়ির বয়স্ক সদস্য বা ছোটদের বিয়েবাড়িতে না নিয়ে যাওয়াই উচিৎ।
• যদি সর্দি কাশি জ্বর বা অন্যান্য উপসর্গ থাকে, তা হলে বিয়েবাড়ি না যাওয়াই ভালো।
• সঙ্গে স্যানিটাইজার, মাস্ক, হেড ক্যাপ আর গ্লাভস রাখতে হবে।
• পরিচিত কারও সঙ্গে দেখা হলে নমস্কার বা কনুই ঠেকিয়ে অভিবাদন করতে হবে। করমর্দন বা আলিঙ্গন নয়।
• এত কিছু বিয়েতে যাওয়া সত্যিই বেশ সমস্যার। তাই জীবনকে একটু রঙিন করতে ডিজাইনার মাস্ক পরতে পারেন। পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং হেডক্যাপ বা প্রিন্টেড গ্লাভসও পরতে পারেন। আর বাড়ি ফিরে এবং বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হলে হাত ধুয়ে, পোশাক পাল্টে নিতে ভুলে গেলে চলবে না।