কী কী কারণে হয়-
সাধারণত বসা বা শোওয়ার ভঙ্গি এর জন্য দায়ী৷ হাত বা পায়ের নির্দিষ্ট কোনও অংশে চাপ পড়লে সেটি অবশ হয়ে যায়৷
আরও পড়ুন : গরমে ঘুম হচ্ছে না? মাথায় উকুনের জ্বালা? আপনার মুশকিল আসান এই উদ্বায়ী
জটিল ক্ষেত্রে-
উচ্চরক্তচাপ বা মধুমেহ রোগীদের ক্ষেত্রেও শরীরের কোনও অঙ্গ দীর্ঘ ক্ষণ অসাড় হয়ে থাকতে পারে৷
advertisement
মেরুদণ্ডে আঘাত লাগলে, হাতে পায়ে রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে, শরীরের কোনও অংশে রক্তপ্রবাহ কমে মাংস পেশি অবশ হয়ে গেলেও এই সমস্যা দেখা দেয়৷
আরও পড়ুন : ব্রেস্টেও হয় অ্যাকনে, অস্বস্তিকর এই সমস্যার কারণ কী?
স্নায়ুতে আঘাত লাগলে, নিউরাইটিস হলে, নার্ভের অসুখ বা নিউরোপ্যাথি হলে, স্নায়ুতে কোনও ক্ষত থাকলেও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা৷
নির্দিষ্ট কোনও ওষুধের ব্যবহার, স্নায়ুতে অ্যালকোহলের প্রভাব, হৃদরোগ, থাইরয়েড গ্রন্থি নিষ্ক্রিয় হলেও এই সমস্যা অনুভূত হয়৷
আরও পড়ুন : ব্রেস্টেও হয় অ্যাকনে, অস্বস্তিকর এই সমস্যার কারণ কী?
ঝিঁঝি ধরার প্রথম অংশে কিছু ক্ষণের জন্য ত্বকে একটা অস্বস্তি হয়৷ এই পর্বকে বলা হয় কম্প্রেশন টিঙ্গলিং৷ দ্বিতীয় ধাপে ওই অংশ অসাড় হয়ে যায়৷ তৃতীয় ধাপকেই বলা হয় ‘পিনস অ্যান্ড নিডলস’৷ এ সময় মনে হয় যেন অসংখ্য সূঁচ বিদ্ধ করছে ওই অংশে৷
শুধুমাত্র একটানা একইরকম ভঙ্গির জন্য ঝিঁঝি ধরলে তা হাত বা পায়ের ভঙ্গি পাল্টে নিলে দ্রুত ঠিক হয়ে যায়৷ অনেক সময় পায়ের পাতায় ঝিঁঝি ধরলে আর একটি পা দিয়ে চাপলেও এই অসাড় অনুভূতি ঠিক হয়ে যায়৷ হাত বা পায়ের ভঙ্গি পাল্টে এই সমস্যা দ্রুত সেরে গেলে তা উদ্বেগজনক নয়৷ কিন্তু এই সমস্যা বার বার হলে, একই অঙ্গ বার বার আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজনীয়৷ কারণ তখন এই অনুভূতি আর নিছক পিনস বা সূঁচ বিদ্ধ হওয়ার যন্ত্রণা নয়৷ এই সমস্যাকে তখন বলে দীর্ঘকালীন প্যারেস্থেসিয়া৷ অনেক সময় রোগের উপসর্গ, আবার অনেক সময় অসুখে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও ঝিঁঝি ধরা ফিরে আসে৷ জটিলতা এড়াতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে৷