সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানালেন যে, শীতের দিনে বিদেশি প্রজাতির কুকুরদের উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। তাদের জামাকাপড় পরিয়ে রাখতে হবে এবং সেই সঙ্গে সময়ে সময়ে খাবার ও ওষুধ দিতে হবে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে পোষ্য সন্তানটির যত্ন নিতে হবে।
আরও পড়ুন Bengali Special Sweet: বাংলার বিশেষ মিষ্টি লেউড়ি, সারা বছর নয় পাবেন শুধু মূলাষষ্ঠীর সময়
advertisement
ডাঃ আশিস কুমারের কথায়, ঠান্ডার মরশুমে চারপেয়ে সন্তানদের পোশাকে মুড়িয়ে রাখতে হবে। আর সবথেকে বড় কথা হল, এই সময় বাড়ির কুকুরকে ঠান্ডা জলের পরিবর্তে গরম জল পানের জন্য দিতে হবে। তবে বাসি খাবার খাওয়ানো একেবারেই চলবে না। আসলে বাসি-পচা খাবার থেকে সংক্রামক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। এর মধ্যে অন্যতম হল ক্য়ানাইন পার্ভোভাইরাস।
ডাক্তারবাবুর মতে, এই সংক্রামক ভাইরাস কুকুরদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে নিয়মিত কুকুরদের ভ্যাকসিন দিতে হবে। যদি বাড়ির পোষ্যটি বমি করে অথবা তার মলে রক্ত দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে, সে ক্যানাইন পার্ভোভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছে। তাই অপেক্ষা না করে নিকটবর্তী ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
এখানেই শেষ নয়, ডাঃ আশিস কুমার আরও বলেন, ঘরে হিটার অন করে রেখে কুকুরকে সেখানে ফেলে রেখে দেওয়া চলবে না। এতে তাদের ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা বাড়ে। ফলে দুর্বল হয়ে যায় পোষ্যটি। তাই এই ভুল একেবারেই করা চলবে না। এছাড়াও তাঁর পরামর্শ, ৪৫ দিনের মধ্যে প্রথম ভ্যাকসিন দিতে হবে কুকুরকে। এই সময় কুকুরকে দুধ খাওয়ালে প্রথমে ডিওয়ার্মার যোগ করতে হবে। যাতে পোষ্যের পেটে কোনও সমস্যা না থাকে, আর তারা সহজেই খাবার খেতে পারে।