এই গবেষণা পত্রের নাম ছিল, 'হিউম্যান অ্যানিম্যাল রিলেশনশিপ অ্যান্ড ইন্টার্যাকশন ডিউরিং কোভিড ১৯ লকডাউন ফেজ ইন ইউকে: ইনভেস্টিগেটিং লিঙ্কস উইথ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড লোনলিনেস'। কিছু দিন আগেই প্রকাশিত হওয়া এই গবেষণাপত্রে দেখানো হয়েছে কী ভাবে লকডাউন পর্বে মানুষের উপর তার পোষ্যর প্রভাব পড়েছে। এই গবেষণার দায়িত্বে ছিল ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রায় ৬ হাজার ইংলন্ডবাসীর উপর এই পরীক্ষা করা হয়।
advertisement
আইসোলেশন ও সামাজিক দূরত্বের পরিপ্রেক্ষিতে এই গবেষণা করে দেখা হয়েছিল যে কী ভাবে মানুষ ও তার পোষ্য পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে। এই গবেষণা বলছে যে তা একাকিত্ব আর মানসিক স্বাস্থ্য, পোষ্য ও তার মালিক, মানুষ ও পশুর মধ্যে ভালবাসা এগুলোর মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে। তার সঙ্গে লকডাউন পর্বে একটি পোষ্যর মালিক সেই পোষ্য সম্পর্কে কী ভাবছে, সেটাও খতিয়ে দেখেছে।
গবেষণা বলছে, যাঁরা এই লকডাউন পর্ব নিজেদের পোষ্যর সঙ্গে কাটিয়েছেন অন্যদের তুলনায় তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য বহু গুণ ভাল ছিল। কমপক্ষে ৯৬% উত্তরদাতারা জানিয়েছেন যে তাঁদের পোষা প্রাণীরা তাঁদের লকডাউনের সময় মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট এবং সক্রিয় থাকতে সহায়তা করেছিল। গবেষণা এও বলছে যে আপনার পোষা প্রাণীটি একটি কুকুর, বিড়াল বা গিনিপিগ যা-ই হোক না কেন, তাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে গিয়ে ঠিক সময় কেটে যায়। তাই যাঁদের বাড়িতে পোষা প্রাণী আছে, তাঁদের উপরে এই কোভিড ১৯ এর ফলে তৈরি হওয়া লকডাউনজনিত মানসিক সমস্যার প্রভাব খুব একটা বেশি পড়েনি।
তবে পোষ্যদের নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তা আছে বইকি মালিকদের। গবেষণা সে কথা উল্লেখ করতে ভোলেনি। কেন না, এই সময়ে যে এদের বাইরে হাওয়া খেতে যাওয়া বা হাঁটাতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।