তবে ব্যাপারটা এত সোজা নয়। প্যাস্টেলের সঙ্গে প্রাণবন্ত উজ্জ্বল রঙের মিশ্রণ সবসময় দৃষ্টিনন্দন হয় না। তাই রঙ বাছাইয়ের সময় সতর্ক থাকতে হবে। যদি ঠিকঠাক রঙের সঙ্গে প্যাস্টেল মেশানো হয় তাহলেই জ্বলে উঠবে আলোর ফুলঝুরি। পরিপাটি চেহারার সঙ্গে হাতও হয়ে উঠবে নান্দনিক। এখানে প্যাস্টেলের সঙ্গে সঠিক রঙের হদিশ দেওয়া হল।
পাউডার ব্লু-র সঙ্গে ভাইব্র্যান্ট পিঙ্ক: প্রস্ফুটিত নীলে গোলাপি রঙের প্রাণবন্ততা। নীল রঙের শীতল আমেজ আছে। এর সঙ্গে পারফেক্ট টোন যোগ করবে ভাইব্র্যান্ট গোলাপি। দুয়ে মিলে চোখে লেগে থাকার মতো রং তৈরি হবে। নীল এবং গোলাপি, একে অপরের বিপরীত। তাই এটা নখে নাটকীয় মাত্রা যোগ করবে।
advertisement
আরও পড়ুন : উপসর্গহীন স্তন ক্যানসার, জটিল লক্ষণগুলো কীভাবে নির্ণয় করবেন দেখে নিন
ইলেকট্রিক ব্লু-র সঙ্গে মিন্ট গ্রিন: মিন্ট গ্রিন শান্ত রঙ। এর সঙ্গে ইলেকট্রিক ব্লু মিশে ঝালমুড়ির মতো মশলাদার আমেজ নিয়ে আসবে। তরকারিতে পুদিনা পাতা অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু নখেও যে এমন সবুজ আভা কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে, না লাগালে বিশ্বাস হবে না। এর সঙ্গে নাটকীয়তা যোগ করবে ইলেকট্রিক ব্লু। শান্ত আমেজের সঙ্গে উদ্দামতা, আলাদা মাত্রা যোগ করবে সন্দেহ নেই।
চেরি রেড সঙ্গে অফ হোয়াইট: লাল চেরির মধ্যে একটা রাজকীয়তা আছে। মন প্রফুল্ল হয়ে যায়। একে অফ হোয়াইট দিয়ে টপ করলে মনে হবে রাজকুমারীর দাঁড়িয়ে আছে। লাল সজীবতা সাদা টোনকে উদ্দীপিত করে। নখে এই রং মার্জিত লুক এনে দেবে। নেইল আর্টেও এই রঙ ব্যবহার করা হয়।
অ্যাম্বার, সঙ্গে লাইলাক: লাইলাক রঙের প্রশান্তি ভাব আছে। অ্যাম্বার নিয়ে আসে সাহসী লুক। অ্যাম্বারের জোরালো আভা লাইলাকের প্রাণশক্তিকে ওভারল্যাপ করে। দুটো রঙের সংমিশ্রণ যেন একে অপরকে চমকে দেয়। অ্যাম্বার শেডের সঙ্গে লাইলাকের মিশ্রণ নখে আলাদা মাত্রা যোগ করবে।
ম্যাট ব্ল্যাক, সঙ্গে পিচ: গভীর কালোতে ভেসে থাকবে পিচ রঙ। কালো স্যুট সব রঙের সঙ্গে ম্যাচ খায়। ম্যাট ব্ল্যাক সেই কাজটাই করবে। সঙ্গে সাহসী স্পন্দন যোগ করবে পিচ। দুয়ে মিলে নখ হয়ে উঠবে শান্ত, ভাসা ভাসা। অথচ গর্জাস।