নতুন জামা, পড়াশুনা বা খেলাধুলা, সব ক্ষেত্রেই ভাইবোনদের মধ্য রেষারেষি ভাব দেখা যায়। অনেক সময় প্রতিযোগিতা দ্বন্দ্বে পরিণত হয় এবং তা মারামারি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের পক্ষে সন্তানদের নিয়ন্ত্রণে রাখা দুঃসাধ্য হয়ে যায়। শিশুদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকা ভালো কিন্তু যদি তা সন্তানকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রভাবিত করে তবে অভিভাবকদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সন্তানের প্রতিযোগী মনোভাব যেন সন্তানের কোনও মানসিক বা শারীরিক ক্ষতি না করে সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এই প্রতিবেদনে বিস্তারিত আলোচনা করা হল কী ভাবে সন্তানদের মধ্যে প্রতিযোগী মনোভাব কমানো যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: দ্রুত ওজন কমাতে চান? ডায়েটে রাখুন এই ধোসা!
১। ছোট বয়সে শিশুদের যা বোঝানো হয় তারা সেটাকেই সত্য মেনে নেয়। অনেক সময় দেখা যায় অভিভাবকরা পড়াশুনা বা খেলাধুলা নিয়ে সন্তানদের তুলনা করেন যা তাদের মস্তিষ্কে চরম প্রভাব ফেলে। এর ফলে একজন সন্তান অন্য জনের থেকে নিজেকে ছোট এবং হীন ভাবতে শুরু করে। এই হীন মনোভাব তাদের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলতে পারে।
২। যদি সন্তানদের মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় তখন অভিভাবককে বিচারক হিসেবে পক্ষপাতী না হয়ে দু'জনের ক্ষেত্রেই সঠিক এবং ন্যায্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ভুল হলে তাকে ভুল বুঝিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: সারাদিনে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় আহার সকালের জলখাবার নয়, প্রচলিত 'ভুল' ভাঙুন!
৩। প্রত্যেক সন্তানকে সমান গুরুত্ব এবং সময় দিতে হবে। যদি অভিভাবক শুধুমাত্র একজনের প্রতি বেশি মনোযোগী হন তবে বাকিরা নিজেদের গুরুত্বহীন মনে করবে। স্বাভাবিকভাবেই ওই একজনের প্রতি অন্য সন্তানদের ঈর্ষা ভাব বাড়তে শুরু করবে।
৪। যদি একজন শিশু অস্বাভাবিক ব্যবহার করে এবং চুপ হয়ে যায় তখন অভিভাবককে তার প্রতি মনযোগী হতে হবে। সন্তানের সঙ্গে খোলা মনে কথা বলে তার মনের অনুভূতিগুলি বাবা-মায়ের কাছে প্রকাশ করার সুযোগ করে দিতে হবে।
৫। আমাদের সকলের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিভা থাকে। কেউ পড়াশুনায় ভালো হলে কেউ আবার ছবি আঁকায় দক্ষ। অভিভাবককে শিশুর প্রতিভা বুঝে তাকে সেই বিষয়ে উৎসাহী করতে হবে।