TRENDING:

Parenting Tips : রেগে গিয়ে সন্তানের সঙ্গে কথা বন্ধ করে দেন? অজান্তে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছেন না তো!

Last Updated:

Parenting Tips : দীর্ঘমেয়াদিভাবে এটি সন্তানের সঙ্গে সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: বাবা-মা কিংবা প্রিয়জনের থেকে আমরা অনেক সময়ই নীরব ব্যবহার পাই। এমনকি আমরা নিজেরাও কোনও না কোনও সময়ে এই ধরনের ব্যবহার করে থাকি৷ মা-বাবার সম্পর্ক হোক কিংবা কোনো রোম্যান্টিক সম্পর্ক, নীরব আচরণ বা রেগে গেলে কথা বন্ধ করে দেওয়া কাউকে শাস্তি দেওয়ার সবচেয়ে নিরীহ পন্থা বলে মনে করা হয়। শারীরিক কিংবা মৌখিকভাবে তিরস্কার করা হয় না বলে এটি শাস্তির একটি অহিংস রূপ বলা হয়। কিন্তু আমরা অনেক সময়ই বুঝতে পারি না যে নীরব আচরণ কোনও মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত শিশুরা যেহেতু বড়দের মাধ্যমেই পৃথিবীকে জানে এবং তাদের নির্ভর করার জন্য কাউকে প্রয়োজন তাই শিশুরা কোনও সমস্যায় পড়লে যদি কারও সঙ্গে কথা বলতে না পারে তাহলে তারা কতটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় ভেবে দেখা উচিত! শুধু তাই নয়, দীর্ঘমেয়াদিভাবে এটি সন্তানের সঙ্গে সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে।
অজান্তে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছেন না তো!
অজান্তে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছেন না তো!
advertisement

নীরব আচরণ কী?

নীরব আচরণ হল যখন আমরা কারও সঙ্গে কথা বলতে চাই না৷ অনেক সময়েই আমরা কারও ভুল বোঝানোর জন্য শাস্তিস্বরূপ এই পন্থা অবলম্বন করি। এমনকী কখনও কখনও এতটাই নীরব আচরণ করি যে কারও উপস্থিতিই অস্বীকার করা হয়। যেমন-

যে কোনওভাবে কথা বলতে কিংবা যোগাযোগ করতে না চাওয়া

advertisement

কারও উপস্থিতিতে উদাসীন থাকা

কোনও দ্বন্দ্ব বা আলোচনা এড়িয়ে চলা

কোনও প্রশ্ন উপেক্ষা করা

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে নম্র আচরণের সময় ভালবাসা না দেখানো

বাবা-মায়েরা এই আচরণ করেন কেন?

বাবা-মায়েদের বাচ্চাদের প্রতি নীরব আচরণ করার অনেক কারণ থাকতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, সন্তানকে কোনও বিষয়ে শিক্ষা দেওয়াই প্রধান উদ্দেশ্য হয়৷ সন্তান কোনও ভুল করলে তার প্রতি কোনও রকম শারীরিক আগ্রাসন না দেখিয়ে বা চিৎকার না করে ভুল তুলে ধরাই কারণ হয়ে থাকে। এছাড়াও, আরও কিছু কারণে বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের উপর নীরব আচরণ করতে পারেন। যেমন-

advertisement

কোনও বিষয়ে সমস্যা হলে

বাবা-মা-কে অসম্মান করে বাচ্চারা কিছু করতে চাইলে

যখন বাচ্চারা 'না' শুনতে চায় না

আবার কোনও বাবা-মা নার্সিসিস্টিক প্রকৃতির হলেও তাঁরা নিজেদের মতো করে সন্তানকে পরিচালনা করতে চান এবং বাচ্চাদের অবাধ্যতা মানতে পারেন না। বাবা-মাও মানসিকভাবে অপরিণত হলেও কখনও কখনও দ্বন্দ্ব এড়াতে বা অস্বস্তিকর প্রশ্নের উত্তর দিতে না চাইলে নীরব আচরণের পথ বেছে নেন।

advertisement

বাড়ন্ত শিশু কিংবা কিশোর/কিশোরীদের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে

অল্পবয়সে শিশুরা এমন একটি পর্যায়ে থাকে যেখানে তাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া সব কিছু নিয়ে কৌতূহলী হয়। শিশুরা শেখার পর্যায়ে থাকে বলে বাবা-মায়েদের সঠিকভাবে সাহায্য করা উচিত। কিন্ত যাদের উপর বাচ্চাদের সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস থাকে তারাই যদি কোনও প্রতিক্রিয়া না দেয় তাহলে শিশুরা অস্বস্তিকর, অনিরাপদ এবং চাপ অনুভব করবে!

advertisement

উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাচ্চাদের উপেক্ষা করলে তারা পরিত্যক্ত, প্রত্যাখ্যাত এবং একাকী বোধ করতে পারে, যা অল্প বয়সে যেভাবে তাদের সঙ্গে আচরণ করা উচিত তার একেবারে বিপরীত হয় বলে অবাঞ্ছিত বোধ করতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে একাধিকবার প্রত্যাখ্যাত হওয়ার অনুভূতি একজন ব্যক্তির আত্মসম্মান এবং আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে। আর সেই প্রভাবটি আরও বেশি হয় যখন এই আচরণ তাদের কোনও কাছের মানুষ যেমন বাবা-মা করে থাকেন।

আরও পড়ুন- করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পরে 'মস্তিষ্কের কুয়াশা'য় ভুগতে পারেন আপনিও! কী এর উপসর্গ?

এটা কি মানসিক অপব্যবহারের একটি ধরন?

খারাপ ব্যবহারের অনেক ধরন রয়েছে। যার মধ্যে কিছু প্রত্যক্ষ, আবার কিছু ব্যক্তিবিশেষের আচরণে লুকিয়ে থাকে। তবে নীরব আচরণ কারও মানসিক সুস্থতার উপর একটি গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি প্রত্যাখ্যান, বঞ্চিত এবং অবাঞ্ছিত হওয়ার অনুভূতি বিভিন্নভাবে মনের ক্ষতি করতে পারে, যা ধীরে ধীরে নিরাপত্তাহীনতা, চাপ এবং উদ্বেগের দিকে নিয়ে যেতে করে। পাশাপাশি যে কোনও সম্পর্কেই ভালবাসার ভারসাম্য থাকে। কিন্তু নীরব আচরণ সেই ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। যা শিশুদের মানসিকভাবে কষ্ট দেয়।

তাহলে বাবা-মায়েদের পরিবর্তে কী করা উচিত?

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ইলেকট্রিক 'চাকা' ঘুরিয়ে দিল ভাগ্যের চাকা! কুমোরদের কাছে কাজ এখন 'বাঁ হাতের খেলা'
আরও দেখুন

আপাতভাবে ক্ষতিকর বলে মনে না হলেও এটি শিশুদের জন্য একেবারেই ভাল নয়। যে কোনও বিষয়ে সমাধানের সবচেয়ে ভালো উপায় হল কথা বলা। সন্তানের কোনও কাজের জন্য বিরক্ত হলে তাদের এড়িয়ে যাওয়ার পরিবর্তে সন্তানকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলা উচিত। যদি তারা কোনও ভুল করে থাকে, তাহলে সেই ভুল থেকেই তাদের শিখতে সাহায্য করতে হবে। কিন্তু চুপ থাকলে শিশু নিজের ভুলের বিষয়ে উপলব্ধি করার পরিবর্তে শুধু মানসিকভাবে ক্ষতির শিকার হবে। শিশুরা তাদের বাবা-মায়ের থেকে সব কিছু শেখে। তাই ভবিষ্যতে, বাবা-মায়ের সঙ্গেও সন্তানের এমন আচরণ করার সম্ভাবনা থাকে। তাই যে কোনও বিষয়ে নীরব থাকার চেয়ে যোগাযোগ করাই শ্রেয়।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Parenting Tips : রেগে গিয়ে সন্তানের সঙ্গে কথা বন্ধ করে দেন? অজান্তে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছেন না তো!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল