পেপার জুয়েলারি কীভাবে তৈরি হয়: পেপার জুয়েলারি মানে কাগজের গয়না। এগুলো তৈরি করতে বিশেষ কিছু লাগে না। দরকার শুরু রঙিন কাগজ, আঠা এবং মোটা শিট কাগজ, ব্যস। এবার মনের মতো ডিজাইনের গয়না তৈরি করে নিলেই হল। কাগজ থেকে কানের দুল, ব্রেসলেট, আংটি, নেকলেস তৈরি করা যায়। দেখতে হয় অসাধারণ। আর নিজে তৈরির ঝামেলায় না গিয়ে বাজার থেকে কিনে নেওয়াও যায়। ২৫ টাকা থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে অঢেল ডিজাইনের রঙবেরঙের পেপার জুয়েলারি বিক্রি হচ্ছে।
advertisement
পেপার জুয়েলারির সুবিধে: পরিবেশবান্ধব-পেপার জুয়েলারি তৈরি হয় কাগজ দিয়ে। সঙ্গে লাগে আঠা। এতে পরিবেশের কোনও ক্ষতি হয় না। এ বছরই কলকাতার দুর্গা পুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো (UNESCO)। পরিবেশবান্ধব পেপার জুয়েলারি ব্যবহার করে সেই মর্যাদাকে কয়েক কদম বাড়িয়ে নেওয়াটা তো কলকাতাবাসীর কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।
আরও পড়ুন : এই নিয়ম মানলেই পুজোয় যতই খান, বদহজম আপনাকে কাবু করতে পারবে না
দাম কম- পুজোর বাজারে অঢেল কেনাকাটা করতে কে না চায়! কিন্তু পকেট ফ্যাক্টর। দামে না কুলোলে অপূর্ণ সাধ নিয়েই ফিরতে হবে। এদিক থেকে পেপার জুয়েলারির বিকল্প নেই। কাগজের তৈরি হওয়ায় দাম খুব কম। তাই অনেকেই এই গয়না খুব পছন্দ করেন। তাছাড়া কয়েকবার ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়াও যায়। কেনা যায় নতুন ডিজাইনের নতুন গয়না।
আরও পড়ুন : ‘বিউটি স্লিপ’ নয়, পুজোয় নজরকাড়া সুন্দরী হয়ে উঠতে ঘুমোন এই নিয়ম মেনে
সেরা নকশা- কাগজ কেটে কিছু তৈরি করাকে বলে ওরিগ্যামি। কাগজ কেটে তাক লাগানো সব ডিজাইন তৈরি করা যায়। এও এক ধরনের শিল্প। সবচেয়ে বড় কথা, নিজের পছন্দ মতো ডিজাইনার কাগজের গয়না তৈরি করা যায়। তাই অন্যান্য ধাতুর গয়নার চেয়ে পেপার জুয়েলারির ডিজাইন অনেক বেশি সৃজনশীল।
অ্যালার্জি- অনেকেরই সংবেদনশীল ত্বক। ধাতুতে অ্যালার্জি থাকে। তাঁদের জন্য পেপার জুয়েলারি একেবারে আদর্শ। কাগজের গয়নাকে আকর্ষণীয় করতে ক্রিস্টাল, কুন্দন, পাথরের ব্যবহারও করা হয়। কাছ থেকে না দেখলে সোনার গয়নার সঙ্গে ফারাক করা মুশকিল।