লুকিয়ে না থাকাই ভাল
বাড়িতে বসে থেকে বিরক্ত হওয়া, চিন্তা করা, মন ভার হয়ে থাকা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এটা হল মানুষের স্বভাবগত আচরণ। সমস্যা তখন হয়, যখন চিন্তা দুশ্চিন্তায় পরিণত হয়। যদি কেউ সামাজিক উদ্বেগের কারণে সবরকম সামাজিক বিষয়কে এড়িয়ে চলা শুরু করে, তখন খুব শীঘ্রই তাঁর সাহায্যের প্রয়োজন।
advertisement
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে হবে
এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়, দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ নিয়ে যে কোনও মুহূর্তে পেশাদার কারও সাহায্য পাওয়া যায় না, আর পাওয়া গেলেও তা ব্যয়বহুল হয়। তাই বিশ্বাসযোগ্য বা কাছের মানুষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা যেতে পারে। তবে হ্যাঁ, মনের ভিতরে যেটা চলছে সেটা পরিষ্কার করে বলতে হবে। আর নিজের ওপর অতিরিক্ত চাপ নিলে চলবে না। পাশাপাশি, একই পরিস্থিতির মধ্যে যদি কেউ থাকে তাকেও সাহায্য করতে হবে।
পছন্দের জায়গায় ঘুরতে যাওয়া যেতে পারে
আনন্দদায়ক বা নিজের পছন্দমাফিক জায়াগায় ঘুরতে যাওয়া যেতে পারে। ছোটবেলার প্রিয় পিকনিক স্পট বা কোনও পাহাড় বা সমুদ্রে ঘরতে যেতে পারলে মন অনেকটা চাঙ্গা হয়ে উঠবে। তবে সেটা সরকারি বিধিনিষেধ মেনে। এছাড়াও সময় করে যদি ব্রিদিং এক্সারসাইজ করা যায় সেটাও খুব লাভদায়ক। প্রধান বিষয় হল নিজেকে পছন্দের বিষয়ে ব্যস্ত রাখতে হবে এবং এমন কিছু করতে হবে যা আয়ত্তের মধ্যে থাকবে।
সব কিছু সহজ ভাবে নিতে হবে
সব কিছু সহজ ভাবে সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে এবং ক্রোধ ভুলে নিজেকে শান্ত রাখতে হবে। নিজের পছন্দের কোনও রেস্তোরাঁতে গিয়ে মন খুলে খাওয়া-দাওয়া করা যেতে পারে, তার পর বন্ধুর সঙ্গেও দেখা করা যেতে পারে। এছাড়াও ভার্চুয়ালি বন্ধুদের গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগে থাকা যেতে পারে। এতে নিজেকে অনেকটা শান্ত রাখা যায়।
সকলের সত্তা আলাদা, এটা ভুললে চলবে না
যাঁরা সব থেকে বেশি পার্টি করতে পছন্দ করতেন লকডাউনের ফলে তাঁরাও সহজে এই সামাজিক বাধা কাটিয়ে নিজের ছন্দে এত সহজে ফিরে যেতে পারবেন না। কারণ, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষ এসবের থেকে দূরে রয়েছে। এটা সকলেরই সমাজিক দক্ষতায় গভীর প্রভাব ফেলেছে। এইভাবে, বোঝা যায় প্রত্যেকটি মানুষই আলাদা এবং প্রতিটা মুহূর্ত আলাদাভাবে সামলাতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে অপরের সঙ্গে তুলনা করা উচিত নয়
সোশ্যাল মিডিয়া মানুষকে এক রকম ভয় দেখায়, মনে হয় আমি অন্যদের থেকে পিছনে পড়ে রয়েছি! কেউ যদি কোথাও ঘুরতে গিয়ে সেখানের ছবি পোস্ট করে, তাহলে নিজেকে তাদের সঙ্গে তুলনা না করাই ভাল। নিজের জীবনে যারা বিশ্বাসযোগ্য তাঁদের সঙ্গে থাকতে হবে, এতে মানসিক ভাবে অনেকটা স্বস্তি পাওয়া যায়। অন্যরা অনলাইনে কী করছে সেটা অনুসরণ না করাই ভাল!