জেলার এক চাষি শঙ্কর বিশ্বাস জানান, “ধানের চারা রোপণের পর থেকেই এই আগাছা বেড়ে উঠেছে। সঠিক ভাবে নিড়ানি দেওয়া সত্ত্বেও পুনরায় ঘাস বেড়ে উঠছে বারবার। এই সময়ে পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া প্রায় দুষ্কর। যাঁদের পাওয়া যায় তাঁরাও প্রচুর টাকা মজুরি চেয়ে বসে। এই পরিস্থিতিতে এই আগাছা শ্যামা ঘাস বা মুথা ঘাস বেশ অনেকটাই চাপের মুখে ফেলেছে বহু কৃষককে। তাই এবারে ধানের ফলন কিছুটা হলেও ক্ষতির সমুখীন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে অধিকাংশ চাষিদের মধ্যে।”
advertisement
জেলার আরেক কৃষক অখিল কুমার সরকার জানান, “ধান খেতেই মুথা ঘাস, শ্যামা ঘাসের উপদ্রব দেখা দেয় বেশি পরিমাণ। এই দুই ঘাস ধানখেতের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। কারণ নিড়ানি দিলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ঘাসের গুঁড়ি মাটির নীচে থেকে যায়। এরপর দিন কয়েকের মধ্যে পুনরায় গজিয়ে ওঠে সেখান থেকে। ছোট অবস্থায় আগাছাটি দেখতে হুবহু ধান গাছের মতন মনে হয়। তাই সঠিক ভাবে নিড়ানি দেওয়াও যায় না। এছাড়া এই আগাছা অনেকটাই দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে থাকে। তবে আগাছানাশক স্প্রে করলেও আগাছা বিনাশ হয় না সঠিক ভাবে, উল্টে ধানের ক্ষতি হয় বেশ কিছুটা।”
কোচবিহারের এক কৃষি অভিজ্ঞ ব্যক্তি অমল রায় জানান, “পর্যাপ্ত পরিমানের চাইতে জমিতে জল কম রাখলে যাবে না। নাহলে এই আগাছা বারবার জন্মাবে। এছাড়া মাঝে মধ্যেই নিড়ানি দিতে হবে। তবে নিড়ানি দেওয়ার সময় নিখুঁত ভাবে দিতে হবে। তবেই এই সমস্যা মিটবে। না হলে সমস্যা বেড়ে উঠতে পারে।” তবে বর্তমান সময়ের এই সমস্যা নিয়ে ধান চাষিদের কপালে বেশ অনেকটাই চিন্তা দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ কৃষক এই আগাছা দমন করতে না পারায় দিশেহারা হয়ে রয়েছেন রীতিমত।
সার্থক পণ্ডিত