ইদানীং অলস জীবনযাপনের জন্য ২৫ বছর বয়সি তরুণও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হচ্ছেন৷ যার পরিণতি অনেক সময়েই শেষ অবধি স্ট্রোকেও পৌঁছয়৷
আরও পড়ুন : বয়স ৩০ পেরিয়েছে? ডায়েটে এই খাবারগুলি আছে তো?
রোজ রাতে যাঁরা ৯ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে ঘুমোন, তাঁদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ২৩ শতাংশ অবধি বেড়ে যায়৷ অন্য দিকে, যাঁরা দৈনিক ৮ ঘণ্টার কাছাকাছি সময় ধরে ঘুমনোর অভ্যাস অনুসরণ করেন, তাঁদের মধ্যে হৃদরোগের আশঙ্কা কম৷
advertisement
গবেষণায় দুপুরের দীর্ঘ ভাতঘুমেরও বিরোধিতা করা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, দিনের মাঝখানে যাঁরা প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় ধরে ঘুমোন, তাঁদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ২৫ শতাংশ অবধি বৃদ্ধি পায়৷ তবে দুপুরে আধঘণ্টা পর্যন্ত বিশ্রাম নেওয়াই যায়, বলছে সমীক্ষা৷ একইভাবে যাঁরা তুলনামূলকভাবে বেশিক্ষণ ঘুমোন, কিন্তু নিশ্ছিদ্র ঘুম হয় না, তাঁদের হৃদরোগের আশঙ্কা ৮২ শতাংশ বেশি৷
আরও পড়ুন : আপনার চায়ে কি ভেজাল মেশানো আছে? বুঝতে পারবেন এই সাধারণ পরীক্ষায়
নিউরোলজিস্ট জয়দীপ বনশল সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘অতিরিক্ত ঘুম কীভাবে স্ট্রোকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তা স্পষ্ট করে বোঝা যায় না৷ কিন্তু সমীক্ষা বলছে, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের তুলনায় বেশি ঘুমোন, তাঁদের শরীরে কোলেস্টরল মাত্রা এবং ওজন দুই-ই বেড়ে যায়৷ দু’টি বিষয়ই কিন্তু স্ট্রোকের জন্য রিস্ক ফ্যাক্টর৷’’
আরও পড়ুন : বেদানা, বিট এবং অ্যালোভেরা ত্রয়ীর সাহায্যে প্রতিরোধ করুন রক্তাল্পতা
তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা একইসঙ্গে মনে করেন সুস্থ ডায়েট এবং জীবনযাপনের ধারা অনুসরণ করলে স্ট্রোকের আশঙ্কা ৮০ শতাংশ অবধি এড়ানো যায়৷ শারীরিক কসরত এবং অল্পবিস্তর শরীরচর্চা বজায় রাখতে হবে৷ জাঙ্কফুড, ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান বর্জন করতে হবে৷ পাশাপাশি, ব্লাড প্রেশার, কোলেস্টেরল এবং শরীরের অন্যান্য দিকের খেয়াল রাখতে হবে৷ দৈনন্দিন জীবনের এই খুঁটিনাটি জিনিসগুলি মিনে রাখলেই এড়ানো যাবে স্ট্রোকের করালছায়া৷