TRENDING:

Cancer treatment: সাবধান! অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া 'ভুল' তথ্য ক্যানসার রোগীদের জন্য ডেকে আনছে বিপদ? শিগগির জেনে নিন

Last Updated:

শুধুমাত্র চিনির জন্যই ক্যানসার হতে পারে — অতিরিক্ত চিনি সেবন অস্বাস্থ্যকর। কিন্তু এটা ক্যানসারের জন্য দায়ী, এমন নয়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ডিজিটাল হাইপারকানেক্টিভিটির এই যুগে ক্যানসার রোগ ধরা পড়লে তো মানসিক এবং শারীরিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়ই, সেই সঙ্গে রোগী অথবা রোগীর পরিবারের লোকজন এই রোগের বিষয়ে পাগলের মতো অনুসন্ধান করে যান। আর এখানেই ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকে বিপদ। অনলাইন সার্চের ফলে রোগী এবং রোগীর পরিবারকে ঘিরে ধরে অনিশ্চয়তার আশঙ্কা। আসলে ইন্টারনেট বর্তমান সময়ে লাইফলাইন হয়ে উঠেছে — কিন্তু এটা ভুল পথেও চালিত করে। বলা ভাল, আজকাল চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ক ভুল তথ্য গোপন মহামারীর আকার ধারণ করেছে। যা ক্যানসারের চিকিৎসায় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।
AI Generated representative image
AI Generated representative image
advertisement

চেন্নাইয়ের এমজিএম ক্যানসার ইনস্টিটিউটের ক্লিনিক্যাল লিড এবং সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সৈয়দ ইসমাইল নবাব জৈন বলেন যে, স্মার্টফোন এবং WhatsApp, Facebook ও YouTube-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে। যার ফলে একাধিক মানুষই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যের জন্য এই সমস্ত চ্যানেলের উপর নির্ভর করেন। শুধু তা-ই নয়, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এই প্ল্যাটফর্মগুলি ক্যানসারের বিষয়ে ভুল এবং আনভেরিফায়েড তথ্যের হটস্পট হিসেবে কাজ করে।

advertisement

বিপজ্জনক মিথ বা ভুল ধারণা এবং বাস্তব জীবনের পরিস্থিতি

অ্যালকালাইন ডায়েটের মাধ্যমে ক্যানসার সারানো যায় অথবা কেমোথেরাপি বেশি ক্ষতি করে- এই ধরনের একাধিক ভুল ধারণা ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এগুলি তো ভুল পথে চালিত করে আর বিপজ্জনকও বটে! এমনই সতর্কতা জারি করছেন চেন্নাইয়ের এসআইএমএস হাসপাতালের সার্জিক্যাল অঙ্কোলজির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সর্বানন পেরিয়াসামি। তাঁর কথায়, আমি এমন পরিস্থিতিও দেখেছি যে, চিকিৎসায় দেরি করে ফেলছেন রোগীরা। আবার কোনও ব্লগ বা ফরওয়ার্ড পড়ে থেরাপি করতে অস্বীকার করছেন, এমনও দেখি। তবে এটা কিন্তু প্রাণঘাতী হতে পারে। ডা. নবাব জন এমন কিছু মিথ তুলে ধরে কিছু দাবি করলেন। সেগুলি নিম্নলিখিত:

advertisement

১. গোমূত্র ক্যানসার সারিয়ে দিতে পারে — এর পিছনে কোনও বিজ্ঞান নেই। তা সত্ত্বেও এই মিথ বিপজ্জনক ভাবে জনপ্রিয়।

২. হলুদ অনায়াসে কেমোথেরাপির জায়গা নিতে পারে — হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে। তবে এটা একাই ক্যানসার সারিয়ে ফেলতে পারে, এমন নয়।

৩. শুধুমাত্র চিনির জন্যই ক্যানসার হতে পারে — অতিরিক্ত চিনি সেবন অস্বাস্থ্যকর। কিন্তু এটা ক্যানসারের জন্য দায়ী, এমন নয়।

advertisement

৪. ঘরোয়া টোটকার মাধ্যমে সম্পূর্ণ রূপে ক্যানসার সারানো সম্ভব — হার্ব বা ভেষজ ভাল রাখতে পারে। কিন্তু এটা সার্জারি বা রেডিয়েশনের পরিপূরক হতে পারে না।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ি! বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের সর্বনাশ
আরও দেখুন

ডা. নবাব জনের বক্তব্য, বিশেষ করে গ্রাম্য এবং শহরতলি এলাকায় রোগীরা প্রচলিত চিকিৎসা থামিয়ে দেন কিংবা অনেকে সেই চিকিৎসা ছেড়েও দেন। কিন্তু যখন আবার চিকিৎসায় ফেরেন, তখন তাঁদের রোগ অনেকটাই ছড়িয়ে পড়ে। যার জেরে বেঁচে থাকার আশাও কমে যায়। কিন্তু এই মিথে বিশ্বাসের কারণ কী। এই প্রসঙ্গে ডা. নবাব জন বলেন যে, কারণগুলির মধ্যে অন্যতম হল – প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়, স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞানের অভাব, ঘরোয়া টোটকার প্রতি গভীর সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় বিশ্বাস এবং নির্ভরযোগ্য চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে পৌঁছতে না পারা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Cancer treatment: সাবধান! অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া 'ভুল' তথ্য ক্যানসার রোগীদের জন্য ডেকে আনছে বিপদ? শিগগির জেনে নিন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল