কিন্তু প্রতিবার চুলে আঙুল বা চিরুনি চালালে একগোছা চুল পড়লে তা অবশ্যই চিন্তার কারণ। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য কিছু পদক্ষেপ করা যেতে পারে। পাঁচটি তেলের একটি পরীক্ষিত মিশ্রণ দ্রুত চুল মেরামত করতে পারে।
নীচের এই পাঁচটি তেল একটি পরিষ্কার বোতলে মিশিয়ে সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করতে হবে।
নারকেল তেল
advertisement
ভারতে উৎপাদিত নারকেল তেল চুলে প্রোটিনের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে। চুলে নিয়মিত নারকেল তেলে মালিশ করলে চুল ভেঙে যাওয়া কম হতে পারে। শুষ্ক চুলের সমস্যাও দূর হয়। নারকেল তেলে উপস্থিত ফ্যাটি চেন কিউটিকলকে প্রশমিত করে এবং চুলকে গভীর ভাবে আর্দ্রতা প্রদান করে।
ক্যাস্টর অয়েল
ক্যাস্টর অয়েল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। তার ফলে এই তেল মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। এটি চুলকে মজবুত করে এবং চুল পড়া রোধ করে।
বাদাম তেল
বাদাম তেল চেরা চুলের সমস্যা থেকে রক্ষা করে। চুলের প্রান্ত যত কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে তত বেশি লম্বা হবে। বাদাম তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে, এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। চুলের ক্ষতির যে কোনও লক্ষণ নিরাময় ও মেরামত করতে পারে এই তেল।
আরও পড়ুন : শীতের সকালে উঠতে দেরি? চিন্তা নেই! নামমাত্র সময়েই বানিয়ে ফেলা যায় ডিমের এই সব সুস্বাদু ব্রেকফাস্টের রেসিপি!
অলিভ অয়েল
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরন বা ডিএইচটি হরমোনকে মাথার ত্বকে জট বাঁধতে বাধা দেয়। এর ফলে চুল পড়া কম হতে পারে। চুলের বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য রক্ষায় তাই অলিভ অয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া চুলে যদি খুশকির প্রবণতা থাকে তবে অলিভ অয়েলের অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য এটি পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে। অলিভ অয়েলের ময়েশ্চারাইজিং প্রভাবও চুলের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে।
রোজমেরি অয়েল
একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে রোজমেরি তেল চুলের বৃদ্ধির জন্য মিনোক্সিডিলের মতো কার্যকরী। এটি পুরুষের টাকের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। লম্বা, চকচকে, এবং এক ঢাল চুল পেতে উপরের চারটি তেলের সঙ্গে ১০ ফোঁটা রোজমেরি এসেনসিয়াল অয়েল যোগ করে নিতে হবে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)