গল্পে-উপন্যাসে, সিনেমায়, নাটকে তো এমন হয়েই থাকে। কিন্তু ২১ শতকের বাস্তবেও কি এমন সম্ভব!
সম্ভব।
সেকথাই বলছে লখনউয়ের ঘটনা। স্বামী থাকেন তাঁর দুই স্ত্রীয়ের সঙ্গে। সপ্তাহের দিন ভাগ করে রাখা আছে। লখনউয়ের পারিবারিক আদালতে দায়ের হওয়া একটি মামলায় এই ঘটনাটি উঠে এসেছে। এক যুবক দু’টি বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করলে একটি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তিতে স্বামী প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তিন দিন এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে চার দিন থাকবেন বলে স্থির হয়। পারিবারিক আদালতও এই পারস্পরিক মীমাংসার বিষয়ে আর কোনও নাক গলায়নি। সব পক্ষের সম্মতিমূলক এমন সমঝোতার পর পারিবারিক আদালত মামলাও বন্ধ করে দেয়।
advertisement
জানা গিয়েছে লখনউয়ের ওই যুবক ২০০৯ সালে তাঁর বাবা-মায়ের পছন্দে একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের দু’টি সন্তানও জন্ম নেয়। কিন্তু ২০১৬ সালে, তাঁরা বিচ্ছিন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে ওই যুবক অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাই আদালতে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গেও যুবকের একটি সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন : ৪৫ বছরের ব্যবসায়ী ফিরে পেলেন ১৮ বছরের যৌবন! জীবনযন্ত্রণার কথা জানলে শিহরণ হবে
পারিবারিক আদালতের আইনজীবীরা জানিয়েছেন ২০১৮ সালে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের মামলা করেন ওই যুবক। কিন্তু শুনানি হতে দেরি হয়। এরই মধ্যে কোভিড অতিমারি ছড়িয়ে পড়ে। স্থগিত হয়ে যায় রায়দান।
অতিমারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর উভয় পক্ষই আদালতে ফিরে আসেন। তখনই তাঁরা একটি নিষ্পত্তিপত্র এবং হলফনামা দাখিল করেন। যার ভিত্তিতে আদালত গত ২৮ মার্চ মামলাটি খারিজ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
চুক্তিতে লেখা ছিল, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার যুবক তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন এবং বাকি চারদিন দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন। শুধু দিনের হিসেব নয়। দুই স্ত্রীর মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিষয়েও চুক্তি হয়েছে, যাতে উভয়ের সমান অধিকার থাকবে। এর বাইরে ভরণপোষণ বাবদ প্রথম স্ত্রীকে মাসিক ১৫ হাজার টাকা দিতেও স্বীকৃত হয়েছেন ওই যুবক।