কারণ হিসেবে স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৫০ বছর আগে ফুলতলা মণ্ডলপাড়া এলাকায় গ্রামে মহামারির(কলেরার) প্রকোপ দেখা দিতেই হাহাকার পড়ে যায়। বহু মানুষের মৃত্যু হয় মারণ রোগে। কথিত, পরবর্তীতে স্থানীয় এক মহিলাকে স্বপ্নে দেখা দেন দেবী। তাঁর স্বপ্নাদেশেই শুরু হয় অকাল রান্নাপুজোর এই পার্বণ। সেই বিশ্বাস থেকে আজও এই এলাকায় বিশেষ দিনে সকলে মিলে নানা রকমের নিরামিষ পদ রান্না করে খাওয়া দাওয়ার রীতি চলে আসছে। প্রায় কয়েক হাজার মানুষ এদিন একত্রিত হন হাবড়ার ফুলতলা মণ্ডলপাড়ায়।
advertisement
আরও পড়ুন : হার্টের দফারফা! হাই ব্লাড প্রেশার চরমে! কোষ্ঠকাঠিন্যে বদ্ধ পেট! রোজ মোমো খাওয়ার আগে এর ভয়ঙ্কর ক্ষতি জানুন!
রাস্তার দু’ ধারে ভোর থাকতেই পুকুরে স্নান করে নতুন জামা কাপড় পড়ে শুরু করেন রান্না। বাড়ি থেকে আনা নানা রকমের শাক সবজি থেকে শুরু করে চাল ডাল মিশিয়ে এই পুকুরের জল তুলেই চাপান রান্না। সারাদিন ধরে এই এলাকায় চলে ভক্তি ভরে রান্নাপুজো। ছোট শিশু থেকে বাড়ির প্রবীণ সদস্যরাও এই রান্না পুজোয় অংশ নেন শরীর স্বাস্থ্য ভাল রাখার কামনা করে। এই উপলক্ষে রীতিমতো মেলাও বসে এলাকায়। স্থানীয় মন্দিরে মনের ইচ্ছা জানিয়ে পুজো দিলে পূরণ হয় মনোবাসনা। সেই বিশ্বাস থেকেই প্রতি বছর এখানে হয় অসময়ের এই রান্না পুজো উৎসব। এদিন এলাকায় গিয়ে দেখা গেল হাজার হাজার মানুষ এই রান্না পুজো ঘিরে উৎসবে মেতেছেন। খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসছেন এই রান্না পুজো দেখতেও। নানা সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় এলাকার এই রান্নাপুজোকে ঘিরে।