তেলেভাজা পছন্দ করেন না বা ভালবাসেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। আর বেশিরভাগ বাঙালিরই সন্ধ্যেবেলার আড্ডা জমে চা অথবা মুড়ির সঙ্গে তেলেভাজা দিয়ে, বিশ্বাস করে চপ দিয়ে। আর সেই চপ যদি পাওয়া যায় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ রকমের ? আম, মোচা, মাশরুম থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাছ, মাংসের চপ যদি থাকে সেই তালিকায় তাহলে ? কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন ভাবতে হবে আপনাকেও।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
পূর্ব বর্ধমানের নীলপুরের বাসিন্দা বেনু দে। তিনি প্রায় ১৫০ রকমের চপ বানাতে পারেন। প্রতিদিনই তিনি প্রায় ২৫ থেকে ৩০ রকমের চপ বানান। তার দোকানে হরেক রকমের চপ থাকলেও একবার হলেও আপনার নজর কাড়বে একটি বিশেষ চপ ।৬ রকমের সবজি,পুদিনাপাতা,ধনেপাতা সহ আরও নানান সামগ্রী দিয়ে তৈরি একটি চপ, যার তিনি নাম রেখেছেন ন্যানো চপ।
আজ থেকে প্রায় ৩৬ বছর আগে শুরু সংসার চালাতে ছোট্ট একটি প্লাস্টিক পেতে শুরু করেছিলেন ব্যবসা। তখন সন্ধ্যা ৬ টা বাজলেই বিক্রি নিয়ে চিন্তা করতে হত তাকে কারণ আশেপাশে আর কোন দোকান ছিল না, লোক যাতায়াতও ছিল অনেক কম। এখন অবশ্য সেসব আর চিন্তা করতে হয় না৷ বিকেল ৫ টা থেকে রাত্রি ১০ টা পর্যন্ত ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় তাকে। ৬ টাকা থেকে প্রায় ৬০-৭০ টাকা পর্যন্ত দামের চপ পাওয়া যায় তার দোকান। ব্যবসা শুরুর প্রথম দিকে অবশ্য মাত্র তিন থেকে চার ধরনের চপ বানাতেন কিন্তু এখন প্রায় প্রতিদিনই ২৫ থেকে ৩০ রকমের চপ বানান তিনি। আর ছুটির দিনে পেয়ে যাবেন প্রায় ৪৫ রকমের চপ৷ এই চপ খেতে বিকেল থেকেই তার দোকানে ভিড় জমান ৮ থেকে ৮০ সকলেই। শুধু বর্ধমান শহর নয় আশেপাশের বিভিন্ন জায়গা থেকেও তার দোকানে চপ খেতে আসেন অনেকেই।
স্বল্প দামে এত রকমের চপের স্বাদ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন বেনু দা-র দোকানে। তবে শুধু বেনু দা-র চপের স্বাদ নয় তার ব্যবহারও মন ছুয়ে যাবে আপনার।তার এই উদ্যোগ শুধু একটি সফল ব্যবসার উদাহরণ নয়৷ এটি প্রমাণ করে যে সামান্য একটি প্লাস্টিকের ছাউনি থেকে শুরু করে কঠোর পরিশ্রম এবং নতুনত্বের ছোঁয়ায় কীভাবে একটি সাধারণ তেলেভাজার দোকান অসাধারণ হয়ে উঠতে পারে।
সায়নী সরকার